লকডাউনের জেরে দশ জন যাযাবরের অনাহারে দিন কাটাচ্ছে শীতলখুঁচিতে

0
27

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। তার জেরে বিভিন্ন এলাকায় ভিন রাজ্যের মানুষ আটকে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রথম লকডাউনের মেয়াদ শেষ হতে না হতে দ্বিতীয় বার লকডাউন ঘোষণা করা হয় ১৯ দিনের জন্য। কিন্তু তার জেরে সাধারন মানুষের হাতে যা টাকা পয়সা ছিল তা প্রায় শেষ।

starving | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

সেজন্য কেউ কেউ আবার অর্থাভাবের কারনে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। আর এই সুযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ওই অসহায় মানুষ গুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি তাদের দৈনন্দিন জীবনে যা প্রয়োজন তা সবই দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে স্বস্তির খবর, আরও ন’জনের পরীক্ষার রিপোর্টে মিলল না করোনা

এমতাবস্থায় শীতলখুঁচি ব্লকের বানিয়াটারি গ্রামে দশ জন যাযাবর তারা লকডাউনের কারনে আটকা পড়েছে। তাদের হাতে যা অর্থ ছিল তা সবই শেষ। খবর পাওয়া মাত্রই তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ সেবা ভারতী’। ওই সময় যা দিয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে।

কথায় আছে “বসে খেলে রাজার ভান্ডার একদিন শেষ হয়ে যায়।” ঠিক তেমনি অবস্থা হয়েছে ওই যাযাবর পরিবারের। তাই বর্তমানে তারা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। লকডাউনের জেরে তারা না পারছে ভিক্ষা করতে, না পারছে কোথাও যেতে। পাশাপাশি এলাকার স্থানীয় যারা, তাদেরও এই লকডাউনে ভাঁড়ারে টান পড়েছে।

তবে এদিন যাযাবরদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানান, ‘স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়েছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে গতকাল। তারপর থেকে আমরা না খেয়ে এখানে সন্তানদের নিয়ে পড়ে রয়েছি। যেহেতু লকডাউন চলছে, কোথাও যেতে পারছি না। আর এখানে কাউকে চিনিও না, যে তাদের কাছে ত্রান চাইব। তাই স্থানীয় দুই দাদাকে বিষয়টি জানিয়েছি’।

অপরদিকে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ”লকডাউনের পর থেকে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। আমাদেরই খাবার জটে না। তার উপর এলাকায় বাহিরের ১০ জন যাযাবর রয়েছে তারা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাদের দেখে মায়া হচ্ছে, কিন্তু কি করব আমরা আমাদের খাবার জোগাড় করতে পারছি না। কয়েকদিন সেবা ভারতী পক্ষ থেকে চাল যা দিয়েছিল, তা শেষ হয়ে গেছে। আমরা যেমন অসহায় তার পাশাপাশি তারা কয়েকদিন ধরে না খেয়েই অর্ধাহারে আছে। প্রশাসনের কাছে আর্জি আমাদের ও ওই যাযাবর পরিবারের কথা ভেবে আর্থিক ভাবে সাহায্য করুক, নয়তো ত্রানের কিছু খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার আবেদন রাখি”।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here