নিউজডেস্কঃ
বিক্ষোভ-গুলি-মৃত্যু মিছিল। তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন শহরে স্টারলাইট নামক একটি ধাতব শিল্পের কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশে সামিল হয়েছিলেন কয়েক হাজার জনতা। সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে দশ জনের মৃত্যু হয়। আহত অনেকে।
ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ রাজনীতিবিদরা।
এই কারখানা বন্ধের দাবি করে আসছেন এলাকাবাসী ২০১৩ সাল থেকে। কেননা ২০১৩ সালে প্রথমে ওই এলাকার বাসিন্দাদের শ্বাসকষ্ট এবং গলায় ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি অমান্য করার অভিযোগ ওঠে স্টারলাইট কারখানার বিরুদ্ধে। প্রথমে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল কারখানাটি বন্ধ করে দিলেও পরে আবার তা খোলার অনুমতি দেয়। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দারা কারখানাটি বন্ধের দাবি তোলেন বারংবার। আজ সকাল থেকেই কারখানা বন্ধের দাবিতে ওই কারখানার সামনে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের জমায়েত হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই দুজন সমেত এখনো পর্যন্ত মোট দশ জনের মৃত্যু হয়েছেএবং আহত হয়েছেন বহু। বিরোধিতা করে অভিনেতা কমল হাসান বলেন, সাধারন নাগরিকরা অপরাধী নয়। সরকার শন্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এতদিন অগ্রাহ্য করে এসেছে তাই এই পরিণতি হল।
বিক্ষোভ নিয়ে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন বলেন, বহুদিন ধরেই ওই কারখানার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু সরকার তা গ্রাহ্যই করেনি। কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালেই সুপ্রিম কোর্ট দূষণ ছড়ানোর জন্য ওই কারখানাকে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা করে। কিন্তু এসত্বেও বহাল তবিয়তেই কারখানাটি চলছে।
এই ঘটনার পর তামিলনাড়ু সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।কারাখানার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী নিহতদের পরিবর্গকে ৯ লক্ষ টাকা এবং আহত পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584