নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-
রাজ্যে আবার আক্রান্ত শিক্ষক সমাজ। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে আক্রান্ত দশাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।
ঘটনা মালদা জেলার রতুয়া থানার ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার। মাদ্রাসা চত্বরেই আজ বুধবার শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গুলি-বোমার লড়াই। এক পক্ষে মোহাম্মদ জাকারিয়ার(হেজামুদ্দিন গোষ্ঠী) নেতৃত্বে পুরনো টিএমসি এবং অন্য পক্ষে প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল হামিদের(ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক গোষ্ঠী) নেতৃত্বে তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এসে ওই মাদ্রাসারই মেয়াদ শেষ হতে চলা সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে গুলি-বোমা চলে যাতে আর কেউ মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পারে। অপরপক্ষে সদ্য পঞ্চায়েত ভোটে গুরুত্ব না পাওয়া আব্দুল হামিদ গোষ্ঠী কিছুক্ষণ পরেই মাদ্রাসায় চড়াও হয় এবং জাকারিয়া গোষ্ঠীর জমা দেয়া মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ।
তারপর জাকারিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ এনে শুরু হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর আক্রমণ। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে কিল, চড়, ঘুষি, লাঠি পেটা করা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। রেহাই পাননি মহিলা শিক্ষিকারাও-শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান শিক্ষিকা হোসেনুর নাহার। সব থেকে আহত হয়েছেন শিক্ষক অমিত গুুন্ডে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক মতিউর রহমান সহ আরো অনেকে। যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভয়ে মুখ খুলতে চাননি। প্রধান শিক্ষক বদরুল ইসলামের মোবাইল বন্ধ আছে।
ঘটনায় দুপক্ষের প্রায় দশজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়কে কেন্দ্র করে কেন এত লড়াই? কিসের জন্যই বা রাজ্যে বার বার আক্রান্ত শিক্ষকেরা?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584