তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
টেরাকোটা বা পোড়া মাটির শিল্পদ্রব্য আদিম সভ্যতার শিল্প প্রচেষ্টার অন্যতম প্রতীক। মৃৎশিল্পের বিশ্বজনীন আবেদনকে হস্তশিল্পের কাব্য মনে করা হয়।প্রযুক্তির উন্নতিতে যুগের পালাবদল ঘটে চলেছে।তাতে হারিয়ে যেতে বসেছে পুরনো এ ধরনের শিল্প ও সংস্কৃতি। হারিয়ে যেতে বসা সেই সংস্কৃতিকে ধরে রাখার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে একটি টেরাকোটা কর্মশালা।দোমোহনা এলিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ৯ জানুয়ারি সকাল ১১.৩০ থেকে শুরু হল চার দিন ব্যাপি টেরাকোটা কর্মশালা।করনদিঘীর নর্থ বেঙ্গল টিচার্চ ট্রেনিং কলেজে এই কর্মশালা চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কর্মশালাটিতে ক্যাম্প নির্দেশক হিসেবে অংশ গ্রহন করছেন ভারতের প্রথিতযশা ভাস্কর তারক গড়াই। এছাড়া এই কর্মশালাতে সহযোগি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ভাস্কর্য শিল্পী সোমনাথ দাস,মৃনাল কান্তি রায়,প্রকাশ কান্তি দে, অরিন্দম দেবনাথ,বিপদ ভঞ্জন সিকদার ও এস রায় পাখাধারা।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করনদীঘির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিজয় মুক্তান,উত্তর দিনাজপুর জেলার,জেলা নিবন্ধক ও ঔপন্যাসিক সুদর্শন ব্রহ্মচারী, ইতিহাসের অধ্যাপক,গল্পকার সুকুমার বাড়ই,অঙ্কন শিল্পী অঞ্জন রায় ও আরও অনেকে ।ক্যাম্প কো অর্ডিনেটর শিল্পী শিবশংকর উপাধ্যায় জানান সিকিম,উত্তরবঙ্গ ও কোলকাতা থেকে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী এই কর্মশালায় অংশগ্রহন করেছেন।শিক্ষার্থীদের টেরাকোটা শিল্প সম্পর্কে সম্যক ধারনা দিতেই আয়োজন করা হয়েছে এই কর্মশালার বলে জানালেন তিনি।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন মিতালি ভোরাল।অতিথি বরণের পর বিষয়ের উপর তাৎপর্যপূর্ণ ভাষণ দেন তারক গড়াই,বিজয় মোক্তান ও উপস্থিত আরও অনেকে।তারপর শুরু হয় হাতে কলমে টেরাকোটার কাজ।শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।জানা গেল এধরনের শিবির জেলায় প্রথম।উত্তর দিনাজপুর জেলা তথা উত্তর বঙ্গে আর্ট কলেজ নেই।উত্তরবঙ্গের যে কোন জায়গায় আর্ট কলেজ হোক এই দাবিও উঠে এলো এদিনের আলোচনায়।
আরও পড়ুনঃ যুব সমাজের আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ও সুচরিত্র গঠন বিষয়ক আলোচনা সভা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584