নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
হাথরাসে দলিত তরুণীর নির্মম পরিণতির প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ, ঠিক তখনই উল্টো ছবি, নির্যাতিতার গ্রামের অদূরেই গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার উচ্চবর্ণের যুবকের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন ঠাকুর সম্প্রদায়ের কয়েকশো মানুষ।
গণধর্ষণে অভিযুক্তদের ন্যায় বিচারের দাবিতে নির্যাতিতার গ্রাম থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে উঠে এল এক অন্য ভারতের চিত্র।
ওজবীর সিং রানা নামে এক বিক্ষোভকারী জানালেন, ”আমরা জেলাশাসকের নির্দেশকে মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের বিক্ষোভ অন্যায়ের বিরুদ্ধে। একটা ঘটনায় আমাদের সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই, তাও তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। তারা দোষী হলে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু দোষী না হলে, তাদের মুক্ত করা হোক।” মোট কথা তাঁদের ধারণাই নেই যে বিচারের ভার আদালতের, পুলিশের নয়।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে ভারত বনধ
গোবিন্দ শর্মা নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ”আমার বন্ধুরা বলেছে যে, এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মহাপঞ্চায়েত করা হবে। মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের উল্লেখ নেই। আমাদের অকারণ টার্গেট করা হচ্ছে এবং আমাদেরকে অত্যাচারী বলা হচ্ছে। এরকম কোনও পরিস্থিতি এখানে নেই।” অর্থাৎ কিনা জাতিভেদ প্রথা ওনাদের মধ্যে নেই!!
আরও পড়ুনঃ আজ ফের হাথরাসে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী
গণধর্ষণে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে শুক্রবার যোগ দিয়েছিলেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও। পরে, ওই এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ হটায় পুলিশ। গ্রাম প্রধান রাম কুমারের কোনো বিবৃতি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পাওয়া যায়নি।
গণধর্ষণ ও দলিত তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের আবহে পুলিশ সুপার-সহ ৫ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে যোগী সরকার। টুইটারে যোগী আদিত্যনাথ লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেদের সম্মান যারা নষ্ট করবে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584