সংক্রমণ বাড়ছে মেদিনীপুর শহরে

0
30

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

ফের ধীরে ধীরে শহর গ্রাস করতে চলেছে করোনা দস্যু। গত সপ্তাহে শহরের বটতলাচক এলাকায় এক মহিলা আক্রান্ত হওয়ার পরে পরেই সার্কিট হাউস এলাকায় এক প্রখ্যাত চিকিৎসকের সন্তান করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই দুটি এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফের করোনা থাবা বসাল মেদিনীপুর শহরে।

containment area | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এবার আক্রান্ত হলেন ভারতীয় বায়ুসেনার এক ৫৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মী এবং তাঁর ২০ বছর বয়সী কন্যাও। জানা গেছে বায়ুসেনা থেকে অবসর গ্রহনের পর মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুর এলাকার রাজীবনগরে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতেন ওই ব্যক্তি। কয়েকদিন আগেই তাঁর ও কন্যার জ্বর, গলা ব্যথার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরা কলাইকুন্ডার বায়ুসেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আসেন।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসকদের পজিটিভ, বন্ধ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল

চাকুরির সুবিধা ও শর্ত অনুযায়ী এই সুবিধা তাঁরা পেয়ে থাকেন। জ্বরের মাত্রা বেশি থাকায় বায়ুসেনার চিকিৎসকরা তাঁদের কলাইকুন্ডার হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। ১৮তারিখ তাঁদের লালা রস সংগ্ৰহ করা হয় ওই হাসপাতালেই। ১৯ তারিখ রবিবার দুজনেরই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবে। আপাতত দুজনেই কলাইকুন্ডা বায়ুসেনার হাসপাতালেই রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত রাইফেল ফ্যাক্টরির ৩২ জন কর্মী, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বাড়ছে ক্ষোভ

এটা ঠিকই যে তুলনামূলক হিসাবে মেদিনীপুর শহরে আক্রান্তের সংখ্যা কম কিন্তু এটাও ঘটনা যে অবিরত বিনা প্রয়োজনেই বাইরে বেরুনোর যে প্রবনতা লকডাউন শিথিল হওয়ার পর শুরু হয়েছে এবং পরিমানে কম হলেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে তাতে করে সচেতন না হলে আক্রান্ত হওয়ার পরিমান বাড়বে।

সোমবার সকালেই বল্লভপুরের রাজীবনগর এলাকা ঘিরে দিয়ে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষনা করে দিয়েছে কোতোয়ালি পুলিশ। এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজও শুরু করা হয়েছে ।পুলিশের তরফে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here