‘স্যার,আমার বিয়েটা রুখে দিন’ ছাত্রীর আর্তিতে এগিয়ে এলো প্রশাসন

0
52

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

The administration came forward in the letter of the student
পরিবারের সাথে কথা প্রশাসনের।নিজস্ব চিত্র

১৮ এর আগে বিয়ে নয়! নিজের বিয়ে রুখতে দাসপুরে প্রশাসনের দ্বারস্ত দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্যার! আমার বিয়েটা রুখে দিন! আমি পড়তে চাই! শনিবার ছুটির ঘন্টা সবে পড়েছে৷ কাঁদতে কাঁদতে প্রধান শিক্ষকের কাছে এমনি আবেদন দশম শ্রেণির ছাত্রীর৷

স্কুলের চার দেওয়ালই তাঁর কাছে প্রিয়! আর্থিক অনটনের মধ্যেও পড়া চালিয়ে আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে কুলটিকরী ক্ষীরদাময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মামনি প্রামানিক৷ কিন্তু বাবা-মায়ের সামর্থ নেই মেয়ের পড়াশুনোর খরচ যোগানোর৷ তাই সুপাত্র খুঁজে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল বাড়িতে৷ মামনির বাবা স্বপন প্রামানিক পেশায় রাজমিস্ত্রীর জোগাড়দার৷ স্বপনবাবুর দুই মেয়ে ও এক ছেলে৷

আরও পড়ুনঃ অসুস্থ ছাত্রীকে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা পর্ষদের

মাসখানেক আগে পূর্বমেদিনীপুরের গোপালনগরে এক স্বর্ণব্যবসায়ীর সাথে বিয়ের সমন্ধ করেন তাঁরা৷বিষয়টি জানার পরেই বিয়ে না করতে চেয়ে প্রধান শিক্ষককে লিখিত দিয়ে জানান মামনি৷ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজ শনিবার, স্কুল ছুটি হওয়া পরে মামনি কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে আসে৷ অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনের নজরে বিষয়টি নিয়ে আসি৷

বি.ডি.ও সাহেব সাথে সাথেই আমাদের স্কুলে আসেন৷ মেয়েটি ও তাঁর পরিবারের সাথে কথা বলেন৷ দাসপুর-২ বি.ডি.ও অনির্বান সাহু বলেন, ছাত্রীর বয়স মাত্র ১৫ বছর! অস্বচ্ছলতা ইস্যুকে সামনে রেখে কোন ভাবেই ১৮ বছরের নিচে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না৷ওই মর্মে অভিভাবকের তরফে লিখিত নেওয়া হয়েছে৷সরকারী প্রকল্পগুলির সুবিধাগুলি ওই পরিবার সঠিক ভাবে পাচ্ছেন কি না গ্রামের প্রধানকে তা খোঁজ নিয়ে আমাকে দ্রুত জানাতে বলেছি৷

বিয়ের পরিকল্পনা বাতিল হওয়ায় খুশি মামনিও৷সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা তাই আপাতত সেই নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চায় মামনি৷

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here