পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
যুবরাজকে আমরা মহারাজ হতে দেব না। তাকে যুবরাজই থাকতে হবে।” আজ রামপুরহাটের রেল ময়দানে গণতন্ত্র বাঁচাও নামক প্রতিবাদ সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্য বি.জে.পি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর খুব ইচ্ছা ছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার।উনি প্রমোশন চাইছেন।ওঁর ভাইপো বারবার বলছেন এবার পি.এম হবেন পিসি। কারণ পিসি যদি পি.এম না হন উনি সি.এম হতে পারবেন না।তাই পিসিকে দিল্লি পাঠিয়ে এখানকার সিংহাসন দখল করার চেষ্টা করছেন।দিদি ভেবেছিলেন তিনি এক নম্বর নেতা।কিন্তু এবার নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে গেছে।দিদির রাস্তায় পাথর ফেলে দিয়েছে। তিনি আর দিল্লি যেতে পারবেন না।আমি বলি দিল্লি ছেড়ে দিন। বাংলার কথা ভাবুন। কলকাতার কথা ভাবুন। আপনি দিল্লি দেখতে যাবেন,কলকাতা আমরা নিয়ে নেব। আগামী নির্বাচনেও নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হবেন।এতে পাগলেও সন্দেহ করে না।এটা বিধির বিধান।”
বি.জে.পি-র রথযাত্রার উপর ফের স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।আর তারপরেই আজ রামপুরহাটে সভা করল বি.জে.পি।সভায় উপস্থিত ছিলেন বি.জে.পি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও জেলা নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। এখানে সঠিক ভাবে ভোট হয় না।রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে গণতন্ত্র আছে।তাই বি.জে.পি-র শাসনেও কংগ্রেস জিততে পেরেছে। গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করে আমরা সেখানে জোর করে জেতার চেষ্টা করিনি।” তিনি আরও বলেন, “১৭টি পৌরসভার ভোট এই মাসে হওয়ার কথা ছিল।পিছিয়ে দেওয়া হল ছ’মাস।কারণ টি.এম.সি জানে মানুষ ওদের যেচে ভোট দেবে না। ভোট লুট করতে হবে।আবারও খুন হবে। আবারও প্রাণ যাবে। আবারও দেশের বদনাম হবে।তাই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হল।আমি বলি কত দূর পিছোবেন আপনারা ?আপনারা পিছোন, আমরা এগোচ্ছি।” তাঁর কটাক্ষ, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের টাকা, পঞ্চায়েতের টাকা লুট করে বাড়ি করেছে। দিদির শাড়ির মত নীল সাদা রং করেছে।”
দিলীপবাবু আরও বলেন, “আমাদের লোকজন নমিনেশন করতে গেলে তাদেরকে দরজা বন্ধ করে মারা হয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।বোম পড়েছে।আমরাও মারপিট করতে পারি। এটা দেখাবার দরকার আছে।মহম্মদবাজারে আমরা সেটা দেখিয়ে দিয়েছি।এমন মার মেরেছিলাম এখনও পিঠে দাগ আছে টি.এম.সি-র নেতাদের। চাইলে গোটা জেলায় মারপিট করতে পারতাম।কিন্তু আমরা আইন মানি,তাই করিনি।আমরা এবার ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেব না।দিদির দুষ্টু দুষ্টু ভাইরা মেয়েদের টিটকিরি করছে,মদের দোকান চালাচ্ছে।ওরা যদি মনে করে গায়ের জোরে পঞ্চায়েতের মত পার্লামেন্ট ইলেকশন জিতে নেবে তবে খুব ভুল ভাবছে।সেদিন দিদির পুলিশ থাকবে না। দিল্লি থেকে দাদার পুলিশ আসবে। পাহারা দিয়ে ভোট করাবে।”
বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নাম না করে “মোটা” বলেও কটাক্ষ করেন।দিলীপবাবু বলেন, “বীরভূমের কথা উঠলেই একটা মোটা লোকের ছবি ভেসে ওঠে।রাস্তায় আসতে আসতে অনেক ছবি দেখছিলাম।মোটা গোঁফ, বড় বড় দাঁত বার করে একজন দাঁড়িয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।আমাকে স্বাগত বলছেন।খুব পপুলার লিডার। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত জেলা বীরভূম। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারণে মৃত্যু প্রতিদিন হচ্ছে এখানে।বি.জে.পি-কে মারতে মারতে অভ্যেস খারাপ হয়েছে এখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে।” দিলীপবাবুর অভিযোগ, তাঁদেরকে সভা করতে দেওয়া হয় না।পুলিশ তাঁদের সভা করার অনুমতি দেয়নি অনেক জায়গায়।পুলিশ উলটো দিকে তথা টি.এম.সি-র দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ঘাটালে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584