নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বন্ধ হতে চলেছে চারটি সিরিয়াল। আর সেখানে সম্প্রচারিত হবে ডাবিং করা হিন্দি সিরিয়াল। এই নিয়ে জোর তোলপাড় চলছে আর্টিস্টদের মধ্যে। অনেকে নানারকম পোস্টও দিচ্ছেন এই নিয়ে। প্রতিবাদ বলাই ভাল তাকে। শোনা যাচ্ছে বন্ধ হতে চলেছে- চিরদিনই আমি যে তোমার, নিশির ডাক, মঙ্গল চণ্ডী, কনক কাঁকন। চারটি ধারাবাহিকই সেই চ্যানেলের যথেষ্ট জনপ্রিয় ধারাবাহিক। খবরটা বাতাসে ভাসছে।
এখনও কোনও লিখিত বার্তা অবশ্য আসেনি পরিচালক- প্রযোজকদের কাছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী লকডাউন উঠলে বাজেট কমানো হবে সিরিয়ালের। তাতে বহু টেকনিসিয়ানের কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রবল৷ যে পরিমাণ ধাক্কা ইন্ডাস্ট্রি খেল তা সামাল দেওয়া মুখের কথা নয়। বাজেট কমলে স্বাভাবিকভাবেই কাজের জায়গা কমবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এডিটিং-এর কাজ শুরু হওয়ার কথা হলেও এভাবে যদি একের পর এক চলমান জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির সেট গুটিয়ে যায় তা হলে তা সকল টেকনিসিয়ানের কাছেই চিন্তার বিষয়।
‘চিরদিনই আমি যে তোমার’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রাভিনেত্রী শার্লি মোদক জানান, “খবরটা নানা দিকে ভাসছে। চ্যানেলের একজনের সঙ্গে কথা বলেও জেনেছি যে চ্যানেল এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তবে, এখনও কোনও লিখিত চিঠি আসেনি যে ভেবে নেব লকডাউন উঠলে আর ফ্লোরে যাব না। তবে কথাটা যদি সত্যি হয় তবে তা আমাদের কারো পক্ষেই সুখকর নয়। চলমান ধারাবাহিক বন্ধ করে ডাবিং সিরিয়াল চালানোটাকে সমর্থন করা সম্ভব নয়। এমনিতেই আমরা প্রায় দু’মাস হল কর্মহীন। এক একটা সেটে ৭০ জনের মতো টেকনিসিয়ান কাজ করে। তাদের কাজ চলে গেলে তাদের পরিবারের উপর কতটা প্রভাব পড়বে তা বলাই বাহুল্য। চারটে ধারাবাহিক বন্ধ হওয়া মানে কতখানি ক্ষতি তা নতুন করে বলার নয়। এমনটা সত্যিই হলে খুব বিপদ।”
আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকেই করোনা নিয়ে সতর্ক বার্তা দিল টিম ‘কী করে বলবো তোমায়’
‘নিশির ডাক’ ধারাবাহিকের শ্রীময়ী অর্থাৎ টুম্পা ঘোষ জানান, “সবার মতো আমিও শুনেছি নিশির ডাক আর চালানো হবে না লকডাউন উঠলে। তবে এখনও কোনও লিখিত কিছু আসেনি চ্যানেলের কাছ থেকে।”
‘কনক কাঁকন’ ধারাবাহিকের কাঁকন থুড়ি শ্বেতা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “শুনলাম বন্ধ হচ্ছে ধারাবাহিকটা। তবে লিখিত কিছু পাইনি। জানি বাজেটের কারণেই বন্ধ হচ্ছে। তাই প্রতিবাদ করতে পারছি না। আমরা এতটা ভাবছি চ্যানেল একটু আমাদের কথা ভাবতে পারত। কিছুটা দিন সময় পেলে গুছিয়ে নিতে পারতাম আরও। উচ্চবিত্তদের চলে যাচ্ছে, নিম্নবিত্তদেরও ত্রাণ পেয়ে চলছে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের হয়েছে যত জ্বালা। একেই আমরা দু’মাস ধরে কর্মহীন। ভেবেছিলাম লকডাউন উঠলে আবার কাজে ফিরব। কিন্তু সেই আশাতেও জল পড়ল। ব্যাপারটা মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।”
‘মঙ্গল চণ্ডী’ ধারাবাহিকের ভিলেন চরিত্র লহনা থুড়ি শ্রেয়সী রায় জানান, “কিছুই বলার নেই। নিজে কাজ হারালাম ভেবে যতটা না খারাপ লাগছে তার থেকেও বেশি খারাপ লাগছে অন্যদের জন্য। এক একটা ফ্লোরে ৫০/৬০ জন করে কাজ করে। সকলের কাজ চলে যাওয়া মানে তাদের সঙ্গে জড়িত তাদের পরিবারও অসহায়তার শিকার হবে। কবে আবার কাজে ফিরব জানি না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584