পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের চিঠি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে মিলল না বেড।তাই বিনা চিকিৎসায় মানসিক ভারসাম্যহীন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত রোগীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হল তাঁর পরিবার।ঘটনা রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার।
রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার বাসিন্দা পূর্ণিমা পাল।দিন কয়েক আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন তিনি।মালদহ মেডিকেল কলেজে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়।কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ জুন পূর্ণিমাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় ।
সেখানে পূর্ণিমাকে নিয়ে বারবার বাঙ্গুর ও এসএসকেএম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।অভিযোগ, সেখানেও পূর্ণিমার সঠিক চিকিৎসা হয়নি।এমনকী তাঁকে কোনও বেড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।গেটে তালা,বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের লম্বা লাইন কলকাতা মেডিকেলে পূর্ণিমার স্বামী প্রণববাবু পেশায় শ্রমিক।পূর্ণিমার চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের চিঠি লেখেন প্রণব।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসকদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন থাকলেও কর্মবিরতি নেই হাসপাতালে
সাতদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের চিঠিতে বেড পাওয়ার নির্দেশও পেয়ে যান।কিন্তু, ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেড তো দূরের কথা মেলেনি নূন্যতম পরিষেবাও।পূর্ণিমার বড় জা বহ্নিশিখা বলেন, “আমরা পূর্ণিমাকে এসএসকেএম -এ হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম।সেখানে ডাক্তার দেখানোর পরও পূর্ণিমাকে কোনও বেড দেওয়া হয়নি।
সেখান থেকে পূর্ণিমাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।সেখানেও ৮ দিন চিকিৎসা হওয়ার পর ফের এসএসকেএম -এ নিয়ে আসি।এখানে আসার পর চিকিৎসকরা আমাদের জানান,আন্দোলন চলছে । চিকিৎসকদের মেরেছেন এবারে আপনারা মরুন ।”
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দাস বলেন, “বেশ কিছুদিন আগে পূর্ণিমা অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চাঁদা তুলে তাঁকে কলকাতা পাঠাই।কিন্তু, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584