বিশ্বজিৎ সরকার,দার্জিলিংঃ
রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বাঘাভীটায় কুরন্দ নদীর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এছাড়াও এদিন উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ, মহকুমা পরিষদের সদস্য আইনুল হক,ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিডিও প্রনয় কুমার মজুমদার,ঘোষপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ সিংহ,সমাজসেবী কারলুস লাকরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।এদিন মন্ত্রী মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেসা করেন যে সবাই কি দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন।উত্তরে সাধারণ মানুষজন বলেন যে তারা পাচ্ছেন না। এরপর বিডিও,মহকুমা পরিষদের দুই সদস্যকে বলেন যে কি বলেন সাধারণ মানুষ।তারা কেন পাচ্ছে না বিডিও প্রনয় কুমার মজুমদারকে প্রশ্ন করেন।তিনি পনেরো দিন সময় দেন।যদি পনেরো দিনের মধ্যে চাল না পায় তাহলে কঠিন থেকে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এর পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন।বলেন যদি কোন অসুবিধা হয় তাহলে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন।আমি যথাযথ ব্যবস্থা নেব।আর কেউ যদি সরকারি বাড়ি আসে তার জন্য কাউকে এক পয়সা দেবেন না।সবশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন যে এই সেতুটি তৈরি করতে ২কোটি ৭৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে।এই সেতুটি প্রায় অনেক দিন ধরেই ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল। এরপর নজরে আসে আমাদের এবং এইটি তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নিই।সেতুটি তৈরি হতে প্রায় ১৮০ দিনের মত সময় লাগবে।এই সেতুটি তৈরি হলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সুবিধা হবে।সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শুনলাম যে তারা ঠিকমতো রেশন পাচ্ছে না।তাই আমি পনেরো দিনের সময় দিয়ে গেলাম এবং আমি নিজে আবার এসে দেখে যাব কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।যদি না নেওয়া হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে দেখার বিষয় উওরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কড়া নির্দেশের পর কি পদক্ষেপ নেন প্রশাসন। সেইদিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের উদ্যোগে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584