তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
শুক্রবার গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের তৎপরতায়
বিবেকানন্দ মোড়ে নিকটে অবস্থিত কালিয়াগঞ্জ টাউন ক্লাবে হানা দিয়ে ক্লাবের ভিতর থেকে প্রচুর নেশা জাতীয় জিনিস পুলিশ উদ্ধার করে পুলিশ।বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি মোটরবাইকও।
পুলিশ ঐ ক্লাবটি সিল করে দেয়।
ক্লাবের পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগনকে ক্লাবের ভিতরে গজিয়ে উঠা অসামাজিক কাজ ও নেশার ঠেকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার আহ্বান করেন কালিয়াগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি শ্রীমন্ত বন্দোপাধ্যায়।এই নেশার ঠেকের আসল হোতাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তল্লাশি অভিযানে নামে।
আরও পড়ুনঃ ব্রাউন সুগার-সহ আটক দুই পাচারকারী
গত ৬ জুন এক গোপন টেলিফোন সুত্রে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ জানতে পারেন কালিয়াগঞ্জ টায়ার কোম্পানির মোড়ে একটি মোটরসাইকেল করে অপরিচিত দুই ব্যক্তি রাত ১১.০৫ মিঃ নাগাদ ঐ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে।
এই খবর পেয়েই কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার আইসি শ্রীমন্ত বন্দোপাধ্যায়ের নজরে আনেন এবং আইসির নির্দেশে বিশাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে উক্ত স্থানে পৌঁছে মোটরসাইকেল সহ দুই অপরিচিত ব্যক্তিদের ধরে ফেলেন।
ধৃত ব্যাক্তিরা হল নজরুল ইসলাম(৫২),পিতা মৃত আব্দুল রহমান,বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার অন্তর্গত বিশ্বনাথপুরে এবং অপরজন হলেন হেমতাবাদ থানার অন্তর্গত বালুপাড়া নিবাসী নাজিম, পিতা সারিফুদ্দিন।
এদের দুজনের কাছ থেকেই ২৫ গ্রাম বিষাক্ত নেশা ব্রাউন সুগার ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল যার নং ডাব্লিউবি ৬০ আর ৯৩৬৪ উদ্ধার করে পুলিশ।
ধৃত দুই ব্যক্তি হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন জায়গার যুবকদের কাছে ব্রাউন সুগার সহ অন্যান্য মাদক নেশা বিক্রি করে।ধৃতরা ঐ সময়ে টায়ার কোম্পানির মোড়ে ব্রাউন সুগার বিক্রি করার উদ্দেশ্যে সেখানে হাজির হয়েছিল বলে স্বীকার করে পুলিশের জেরায়।যে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটিও চোরাই বাইক বলে স্বীকার করে ধৃতরা।
বিষাক্ত নেশা বিক্রির সাথে এতদঅঞ্চলে মোটরবাইক ছিনতাই ও চুরির কাজেও তারা লিপ্ত বলে পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১(১) এনডিপিএস অ্যাক্ট আর/ডাব্লিউ ধারা ৪১১/৪১৩
ধারায় কেস রুজু করেছেন।
ধৃতদের জেলা আদালতে পাঠিয়ে তাদেরকে পুনরায় পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584