সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
দশ হাজার টাকা দিতে না পারায় পিতা হারা কন্যাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার নোদাখালি থানার বাওয়ালীর চক মানিকে।দুই বছর আগে বিষ্ণুপুর থানার নয় হাজারির চিলেবেড়িয়া টুম্পা মণ্ডলের সঙ্গে, নোদাখালি থানার চক মানিক বাওয়ালীর শুভ সরকারের বিয়ে হয়। শুভ পেশায় নার্সারি বাগানে কাজ করে।প্রেম করে বিবাহ হয় তাদের। বিবাহের বেশ কিছুদিন ভালোই চলছিল।তার পর শুরু হয় টাকা চেয়ে অশান্তি।টুম্পা মণ্ডলের বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ জামাই শুভর অবৈধ্য সম্পর্কও ছিল। মেয়ে জানতে পারে। প্রতিবাদ করে।সেই নিয়েও চলত মারধোর।অবশেষে দশ হাজার টাকা জন্য চাপ দিতে থাকে।টাকা না দিতে পারাই পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলতে মেরে গলাই দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। টুম্পার শ্বশুরবাড়ির লোকজন টুম্পার বাপের বাড়িতে খবর দিয়ে বলে,পাড়ার লোকজন নিয়ে এস।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই পাড়া প্রতিবেশী সহ পরিবারের লোকজন। গিয়ে দেখে যে টুম্পাকে বারান্দায় শোয়ানো আছে।গায়ে হাত দিয়ে দেখেযে টুম্পার গা বরফের মত ঠাণ্ডা।ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ নেই। পরিবারের লোকজন স্থানীয় লক্ষ্মীবালা গ্রামীণ হসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। নোদাখালি থানাই খবর দিলে নোদাখালিথানার পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।টুম্পা মা ও পরিবারের লোকজন নোদাখালিথানাই খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নোদাখালি থানার পুলিশ টুম্পার স্বামী ও শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত দুই
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584