অবশেষে খাঁচাবন্দী চিতা ফাঁসিদেওয়ায়

0
57

বিশ্বজিৎ সরকার,দার্জিলিংঃ

the cheetah in cage at phansidewa | newsfront.co
বন্দী।নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘ দিন ধরে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটানোর পর স্বস্তি পেল শিলিগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চারটি গ্রামের বাসিন্দারা।অবশেষে শনিবার রাতে খাঁচা বন্দী হল চিতাবাঘ। খুশি এলাকার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত গত তিনমাস ধরেই ফাঁসিদেওয়ার টামবাড়ি,ভেলকুজোত, নয়নজোত ও রুইদাসা এলাকায় বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। এলাকাবাসীদের অভিযোগ যে প্রতিদিনই কোন না কোন গ্রাম থেকে গবাদিপশু ধরে নিয়ে যেত।এই ঘটনার খবর দেওয়া বনদফতরকে।সেই মত এই ঘটনার খবর পেয়ে খাঁচা পাতে বনদফতর। তবে খাঁচা পাতলেও অধরা থেকে যায় চিতাবাঘটি।স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন যে সেখানে খাঁচা দরকার চারটি দিয়েছে দুটি।এরপরেই কোন ব্যবস্থা নেয়নি।এমনকি কোন গুরুত্বই দেয়নি। এইভাবে চলতে থাকে। এবং প্রতিদিন গবাদিপশু ধরে নিয়ে যেতে থাকে।এরপর গত শুক্রবার ভেলকুজোতের এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে একটি গরুর বাছুর নিয়ে যায় চিতাবাঘটি। এবং যখন স্থানীয়রা চিতাবাঘটিকে তাড়া করে।সেই সময় একটি চা বাগানের ভেতরে ঢুকে যায়।এরপর ফের একবার খবর দেন বনদফতরকে।এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনবিভাগের কর্মীরা এবং খাঁচা পাতে। এরপর এলাকায় জোর কদমে চলে চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি।যদিও দুঘন্টার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বনকর্মীদের।অধরাই থেকে যায় চিতাবাঘটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কার্শিয়াঙ ডিভিশনের এডিএফও জি ইয়লমো।এরপর তিনি বলেন যে যতক্ষণ পর্যন্ত চিতাবাঘটি ধরা পড়েছে ততদিন পর্যন্ত এলাকায় টহলদারি চালিয়ে যাবে বনকর্মীরা।সেই কথা মত এলাকায় টহল দেয় বনকর্মীরা।অবশেষে খাঁচা বন্দী হয় চিতাবাঘটি।এই ঘটনার খবর পেতেই খুশি চারটি গ্রামের বাসিন্দারা।তারা বলেন এইবার হয়তো আমারা আবার আগের মতো করে কাজ করতে বের হতে পাড়বো।বাচ্চা ভাল করে স্কুলে যেতে পারবে।এই বাঘের আতঙ্ক এতটাই ছিল যে আমরা রাতে ভয়ে ঘর থেকে বের হতাম না। এতদিন পরে বনদফতরের হুঁশ ফিরেছে।

আরও পড়ুন: পোস্টার খুলে পরিবেশ স্বাভাবিক করতে অবশেষে দাড়িভিটে মহকুমা শাসক

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here