রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জে বিড়ি শ্রমিকদের বাস।এখানকার ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি বিড়ি বাঁধে আর্থিক সচ্ছলতার তাগিদে।এদের মধ্যে রয়েছে অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী।তারা অতিসাধারণ গরীব পরিবারের,সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে;স্কুলে পড়তে যাওয়ায় পড়ার সাথে খাবারটাও পাওয়া যায়।কিছুটা হলেও এক বেলা খেয়ে আসে ছেলে মেয়ে নিশ্চিন্ত হন দরিদ্র পরিবারের সেই সব অভিভাবকরা।
প্রতি বছর এ সময়ে রোদের তাপ বাড়ে,গরম লাগে এরই মধ্যে পড়াশুনা চলে সকালে ক্লাস আরম্ভ হয়।তবে এবছর ব্যতিক্রম ,রাজ্যে হটাৎ ঘোষনা হয় গরমের ছুটি।কিন্তু এবার এমন কি ঘটলো যে পরীক্ষা চলাকালীন মাঝ পথে একেবারে দু’মাসের স্কুল ছুটি।
উঠে আসছে নানা প্রশ্ন।রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অরাজনৈতিক দল সবাই এই দীর্ঘ ছুটির সমালোচনা করে প্রতিবাদে সরব হয়েছে।ছাত্র ছাত্রীরা কিংবা তাদের অভিভাবক কেও এ ছুটি চান না।তারা চাই স্কুল যে নিয়মে চলছিল তাই থাক।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ স্কুল ছুটির প্রতিবাদে ডিএসও-এর মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির ডেপুটেশন
বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই তাদের তাই স্কুলের শিক্ষা সম্পন্ন করতে স্থানীয় স্কুলে পাঠাতে চান অভিভাবকরা। প্রত্যন্ত জায়গায় পড়ুয়ারাও স্কুল যাবার জন্য স্কুল খোলার কথা জানালো।এদের মধ্যে কেউ আবার দশম শ্রেণীতে পাঠরতা।
আগামী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হওয়ায় সিলেবাস শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে তারা।অভিভাবক থেকে স্থানীয়রা সবাই স্কুল ছুটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তবে এত জনমতের মাঝে শিক্ষা দফতর কি ইতিবাচক ভূমিকা নেয় সেটাই এখন দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584