ধান বিক্রি করতে গিয়ে ধলতা নেওয়ার অভিযোগ

0
48

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

corruption to selling paddy | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

সরকারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে কিষান মান্ডিতে সরকারিভাবে ধান কেনা বেচা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, তারা প্রচুর পরিশ্রম করে ধান চাষ করার পর তারা যখন সেই ধান বিক্রি করতে যায় কিষান মান্ডিতে সেই সময় তারা ঠিকঠাক ভাবে ধান বিক্রি করতে পারছে না।

corruption to selling paddy | newsfront.co
গোপালচন্দ্র ঘোষ, ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা।নিজস্ব চিত্র

শুধু তাই নয় যদিও বা কোন সময় কৃষকরা ধান ন্যায্যমূল্যে সেখানে বিক্রি করতে যায় সেখানেও কৃষকদের বাধ্য করা হয় ধলতা দিতে। ফলে কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের বক্তব্য ধান বিক্রি করতে এসেও তাদের কাটমানি দিতে হচ্ছে।

আজ কৃষকদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিষান মান্ডিতে এসে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর এর আধিকারিক এর কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপির নেতা রূপক রায়।

আরও পড়ুনঃ দূর্ঘটনা কমাতে বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে বাম্পার, শুনে হতবাক মন্ত্রী

farmer | newsfront.co
চাষী। নিজস্ব চিত্র

রূপক বাবুকে এদিন দেখা যায় এদিন খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিকের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে। কিন্তু আধিকারিক রুপবাবুর কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব না দিয়েই কোনোক্রমে পালিয়ে যান।

রূপক বাবু বলেন এখানে যেরকম ভাবে দুর্নীতি চলছে তার খুব শীঘ্রই তিনি এব্যাপারে জেলা শাসকের কাছে নালিশ জানাবেন।

bjp leader | newsfront.co
রূপক রায়,স্থানীয় বিজেপি নেতা।নিজস্ব চিত্র

তিনি আরোও বলেন, এখানে এক শ্রেণীর আমলারা ঘুঘুর বাসা তৈরি করেছেন।

কৃষকরা সঠিকভাবে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা বেচা করতে পারছেন না। ন্যায্য দাম থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এখানে সরকারি আমলারা বিভিন্ন ধরনের দালাল ব্রোকারদের সঙ্গে গোপনে গোপনে চুক্তি করে নিয়েছেন।

পূর্বের খবর : উজ্জ্বলা প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগে সরব তৃণমূল

ওরা বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে গ্রামে হাটে বাজারে গিয়ে ধান কিনে মিলে গিয়ে সেই ধান দিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে চাষী ভাইয়েরা তারা সঠিক ভাবে ধান দিতে পারছে না এই কিষান মান্ডিতে।

ফলে কৃষকরা সরকারি ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এরকমভাবে বেশ কিছুদিন যাবৎ এই ধরনের ঘুঘুর বাসা চলছে এখানে। তিনি বলেন এই ধরনের ঘুঘুর বাসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

তিনি এ ব্যাপারে সমস্ত কিছু তথ্য ও প্রমান সহকারে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।

রূপক বাবু এদিন আরো অভিযোগ করে বলেন সরকার যখন বলেনি যে কোন চাষী যদি ন্যায্য মূল্যে কৃষক বাজারে এসে ধান বিক্রি করতে যায় সে ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে ধলতা নেওয়া হবে।

কিন্তু সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই কৃষক বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে কুইন্টাল ধলতা।কেন নেয়া হচ্ছে ধন তা। অবিলম্বে এই ধরনের বাসা কিভাবে ভাঙতে হয় সে ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান কালিয়াগঞ্জ কৃষক বাজারে কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় সে ব্যাপারে কৃষি দপ্তর সদা সতর্ক।

যদি কোন এখানে এ ব্যাপারে দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে তিনি সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখে তার ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরো বলেন কোন কৃষকের কাছ থেকেই ধলতা নেওয়া হয় না। তবে ধানের গুণগত মান পরীক্ষা করেই ধান নেওয়া হয় চাষীদের কাছ থেকে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here