টাকা তছরূপের অভিযোগ পঞ্চায়েত সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে

0
104

সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

complaint about supervisor | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

১০০ দিনের কাজের জন্য রাজ্যের বেকারদের নতুন দিশা দেখিয়েছে ঠিকই,কিন্তু জবকার্ড নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা।কোথাও জবকার্ড থাকলেও পাচ্ছেনা কাজ।কোথাও নিজের জবকার্ড থেকেও অন্যজন পাচ্ছে কাজ।আবার কোথাও নিজের নামে জবকার্ড আছে কি না তা জানেন না।

অথচ টাকা উঠেছে। ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ সালে আর্থিক বর্ষে জবকার্ডের এম জি এন আর ই জি এ (মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান)এই প্রকল্প থেকে দুটি বুথের ত্রিশ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সুপারভাইজার রাকেশচন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে।

বিষ্টু বোদক, জবকার্ড অভিযোগকারী।নিজস্ব চিত্র

দুটি বুথের ৪১ টি পরিবারের জব কার্ডে রয়েছে সুপারভাইজার রাকেশ চন্দ্র মন্ডল পরিবারের ১১ জন সদস্যর নাম।মন্ডল পাড়া ও বোধক পাড়াই এমন কাজে অসন্তোষ এলাকাবাসির।মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের উরেলচাঁদপুর গ্রামের ৯ ও ১০ নং বুথের এমন ঘটনা।উড়েলচাঁদপুর গ্রামপঞ্চায়েতে রয়েছে ১৫ টি বুথের ১১টি সংসদ।

নিমাই মন্ডল, জবকার্ড অভিযোগকারী।নিজস্ব চিত্র

এই পঞ্চায়েত ছিল বরাবরই সিপিএমের।অষ্টম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৫ সিপিএম ৫ এবং একজন নির্দল হয়।তারপর দুজন সিপিএম তৃণমূলে গিয়ে তৃণমূল বোর্ড দখল করে।প্রধান হন তৃণমূলের সুমিত্রা মন্ডল।ইনি রাকেশ চন্দ্র মন্ডলের মা।তার পর থেকে শুরু হয় দূর্নীতি।

নিরাপদ মন্ডল, এলাকাবাসি ।নিজস্ব চিত্র

গ্রামপঞ্চায়েতে রয়েছে ১৪৩০ টি মোট জবকার্ড হোল্ডার।যার মধ্যে ৯ ও ১০ নম্বর বুথে রয়েছে ২৬২ টি জবকার্ড।যার মধ্যে ৪১টি পরিবারের রাকেশ চন্দ্র মন্ডলের ১১ জন পরিবারের সদস্যর নাম রয়েছে।অথচ রক্তের সম্পর্ক না থাকলে কার্ডনাম নথিভুক্ত করন করা যায় না।

যে যে নাম তুলে ধরেছে তাদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর রয়েছে।ফলে টাকা ঢুকলে জবকার্ড প্রাপকরা পাবেন না কোন টাকা।পাবেন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যাদের বই রয়েছে। আর তারাই রাকেশ মন্ডলের আত্মীয়।বোদক ও মন্ডল দুই পরিবার লুটে নিয়েছে গ্রামের মেহনতকারী সাধারন মানুষের প্রাপ্য সরকারি এম জি এন আর ই জি এ (মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান টাকা।

নমিতা সাহা, বিধায়িকা মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা।নিজস্ব চিত্র

কিভাবে করেছে কাজ । ত্রিলোকপাত্রের চক গ্রামের ৯ নং বুথের বাসিন্দা পঞ্চানন বোদক যার কার্ডে নাম রয়েছে নিমাই বোদক অথচ নিমাই বোদক পঞ্চাননের কেউ নন ।নিমাই রাকেশের আত্মীয়।তার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা।

আরও পড়ুনঃ  ঝাড়ু নিয়ে ঝগড়া,ননদের কান কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ বৌদির বিরুদ্ধে

রাকেশ চন্দ্র মন্ডল, সুপারভাইজার।

অন্যদিকে দীপক বোদক,তার স্ত্রী কমলা বোদক । সেখানেও বিজয় বোদকের নাম দিয়ে টাকা তুলেছেন রাকেশ।কারন এই বিজয় বোদক হলো রাকেশের শালা।অথচ বিজয় বোদক মৃত দীপক বোদকের কেউ নন।তাহলে কিভাবে কে করেছে এমন কাজ।

নিজস্ব চিত্র

যদিও সুপারভাইজারের দাবি পঞ্চায়েত ভিএলই এই কাজ করেছেন।একে অপরের কাদা ছিটাতে ব্যস্ত।মগরাহাট দু’নম্বর ব্লকের বিডিও রথিন বিশ্বাস থেকে ডায়মন্ড হারবার এসডিও ও জেলাশাসক পি উলগানাথন কে জানিয়ে আজও সুরাহা মেলেনি।

নিরুপায় ত্রিলোকপাত্রেরচক এলাকাবাসি।এমনকি দিদিকে বলোতে জানিয়ে মেলেনি সমাধান।অবশেষে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দেন বাসিন্দারা।ক্যামেরার সামনে মুখ না খুলে তদন্ত চলছে বলে দাবি মগরাহাট দুনম্বর ব্লকের বিডিও রথিন বিশ্বাসের।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মগরাহাট পূর্বের বিধায়িকা নমিতা সাহা।আশ্বাস প্রত্যাশা প্রতিশ্রুতিতে কবে সমাধান মিলবে প্রত্যন্ত এলাকাবাসির।এখন সেটাই দেখার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here