পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি ঘিরে ফেলে গ্রেফতার করা হল খয়রাশোলের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদরিকে।কাঁকরতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে কৈথি গ্রামে ঝামেলা থামাতে এসে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ।গাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করা হয়েছিল পুলিশ কর্মীদের।সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল কাদরি। প্রায় তিন মাস পর গ্রেফতার করা হল খয়রাশোলের এই ডাকসাইটে নেতাকে। এরমধ্যে অবশ্য নদীতে বয়ে গিয়েছে অনেকখানি জল। উল্টেপাল্টে গিয়েছে নানা সমীকরণ।
আরও পড়ুন: দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ছয়
খয়রাশোল বরাবরই শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। অশোক ঘোষ,অশোক মুখোপাধ্যায়, এবং সবশেষে দীপক ঘোষ তৃণমূলের তিন তিনজন ব্লক সভাপতি খুন হয়েছেন এই খয়রাশোলেই। প্রত্যেকটি ঘটনাই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে অভিযোগ।গুলি বোমাও খয়রাশোলের নিত্য ঘটনা। একসময়ের তৃণমূলের কার্যকরী বুথ সভাপতি উজ্জ্বলের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অপরাধমূলক কাজকর্মের একাধিক অভিযোগ।কিন্তু তবুও পুলিশ ধরাছোঁয়ায় পায়নি তাঁকে।এর জন্য জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের দিকেই বারবার আঙুল তুলেছেন বিরোধীরা।
কিন্তু গত ২৩ অক্টোবর খয়রাশোলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ খুন হওয়ার পর থেকেই সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে বলে অভিযোগ।নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কৈথি গ্রামে পুলিশের উপর হামলা হয়।১১ ই নভেম্বর বোলপুরে অনুষ্ঠিত একটি সভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন,“উজ্জ্বল বোম মারার নায়ক, ওকে এখুনি অ্যারেস্ট করো।”সে দিন অবশ্য উজ্জ্বল জানিয়েছিলেন, “তিনি নির্দোষ,জেলা সভাপতিকে হয়তো কেউ ভুল বুঝিয়েছে, তারজন্যই এ কথা বলেছেন তিনি।”
এ বার উজ্জ্বল গ্রেফতারের পরে তাই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির অঙ্গুলী হেলনেই গ্রেফতার করা হলো উজ্জ্বল কাদরীকে?কিন্তু পাল্টা দাবিও যথেষ্ট জোরালো।জেলা সভাপতির অঙ্গুলিহেলনে গ্রেফতার হলে হয়তো সেই দিন বা তারপরেই গ্রেফতার করা হতো তাঁকে। মাঝখানে কেটে গেছে দেড় মাস।
পুলিশ জানাচ্ছে, কৈথি গ্রামে নিজের বাড়িতে রয়েছেন ওই নেতা, খবর পেয়েই গভীর রাতে ঘিরে ফেলা হয় তাঁর বাড়ি।কোনও ভাবেই যাতে তিনি পালাতে না পারেন তার জন্য ঘিরে রাখা হয় এলাকাও।তবে এলাকার মানুষের দাবি, পলাতক নয়,এতদিন নিজের বাড়িতে বহাল তবিয়তেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584