নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ
ভারতবর্ষের এতগুলি রাজনৈতিক দলের কোন নেতা নেত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।কারণ তিনি সাত বার সাংসদ ও চারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাত বছর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েও অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত।ভুঁইফোড় নেতা-নেত্রীদের মত বিলাসবহুল বাড়িতে সচ্ছল জীবনযাপন করতে তিনি কখনো চান না, অথচ এগুলো সবই তার নাগালের মধ্যে রয়েছে।
শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরে ইউনিভার্সাল পেপার মিলের শ্রমিকদের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে আইএনটিটিইউসি সভাপতি দোলা সেন এ কথা বলেন। শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এদেশের কোন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে কাতারে কাতারে মানুষ সাড়া দেয় না,কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে উনিশে জানুয়ারি ঐতিহাসিক সমাবেশ দেখেছে সারা দেশের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ আবার রাক্ষসী বলে আক্রমণ মমতাকে
এই সমাবেশে সারাদেশের ছাব্বিশ জন বিরোধী দলনেতা বক্তব্য রাখেন।বিজেপি বিরোধী এই ঐক্যের প্রধান আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তার আহবানেই সারাদেশের বিরোধী শক্তি আগামী দিনে দিল্লি থেকে মোদি সরকার কে হঠাবে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে জোট তৈরি হতে চলেছে তাতে দিল্লির মসনদে আর আসছেন না নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহরা। আগামী দিনের নতুন সরকারের চাবিকাঠি থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।’
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করে আইএনটিটিইউসি র সভাপতি দোলা সেন বলেন, ‘আপনাদের পাশের জেলার একটি বিধানসভা আসনে জিতে বিজেপির এক নেতা খুব লাফালাফি করছেন।তিনি জানেন না যে আগামী দিনে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।ওই নেতার নাম মুখে নিলে দিন খারাপ যায়। তারা জানেন না যে বাংলার নবজাগরণের মনীষীদের সঙ্গে ইতিহাসে জায়গা করে নিতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোলা দেবী বলেন, এ রাজ্যে বাম আমলে ছাপ্পান্ন হাজার কারখানা বন্ধ হয়েছে।এক লক্ষ দেড় হাজার শিল্প রুগ্ন হয়েছে।
এসবের পিছনে ধর্মঘট বন্ধ অবরোধ প্রধানত দায়ী।বাম আমলে যা হামেশাই হয়ে থাকতো।রাজ্যে দুই হাজার এগারো সালে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিল্প বাঁচাও শ্রমিক বাঁচাও’ l শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখলে তবে শ্রমিকরা বাঁচবে l বনধ অবরোধ ধর্মঘট হলে হাজার হাজার শ্রমিকের ঘরে খাবার বন্ধ হয়ে যায়।সিপিএমের আমলে সাতাত্তর লক্ষ শ্রম দিবস নষ্ট হতো।
সেজন্য এখন বনধ অবরোধ ধর্মঘট তুলে দেওয়া হয়েছে।কল কারখানায় কোনো সমস্যা হলে ট্রেড ইউনিয়ন নীতি মেনে সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসে সমাধান করা হয়।সমস্ত শ্রমিকদের এক ছাতার তলায় আনতে আইএনটিটিইউসি র চারটি সংগঠন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।আইএনটিটিইউসি এখন দলের একটি শাখা সংগঠন।আজকের সভায় পেপার মিলের কর্মীরা ছাড়াও ঝাড়গ্রাম পৌরসভার কর্মী, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মীরা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যোগ দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584