পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় প্রতীক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মানুষের মনে। একটি রাজনৈতিক পরিচিতির জন্য এটিই গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমানে দলীয় প্রতীকের জনপ্রিয়তা কেমন যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলো দেওয়াল লিখনের ক্ষেত্রে সে ভাবে নিজেদের দলের প্রতীক নিয়মের বেড়াজালে দেওয়াল লিখনে তুলে আনতে পারেনি।
কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের জানান দিতে দলীয় প্রতীকে গুরুত্ব দেয় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।যদিও দলীয় প্রতীকের রংচং,ঝা চকচকে একটা গরিমা এখন আর নজরে আসে না।বীরভূম জেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায় রাজ্যের শাসকদলের জোড়া ফুল প্রতীক দেওয়ালে দেওয়ালে প্রচারের জন্য শিল্পীরা এঁকেছেন তাতে রয়েছে অনেক খামতি।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে তৈরি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রতীক।জোড়া ফুল প্রতীকটির মধ্য দিয়ে মানুষকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেওয়ার সুচতুর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় সেই জোড়া ফুল শিল্পীর হাতে ফোটার সময় থাকেনা রঙের খেয়াল,অনেকটা যেমন খুশি তেমন সাজের মতো জোড়া ফুলের পাঁপড়ি গুলিকে রং করা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে যে জোড়া ফুল দলীয় প্রতীক হিসেবে আঁকা হয়েছিল তার রঙ কিন্তু সাদা,গাঢ় সবুজ,কমলা। এখন জোড়া ফুলে এই তিনটি রং অমিল। বিষয়টা নিয়ে জেলার অধিকাংশ তৃণমূল নেতাদের দাবি,আসলে সময় থাকেনা দলীয় প্রতীকে কি রংয়ের সেজে উঠল সেটা দেখার।
তবে তারা মেনে নিয়েছেন,রাস্তা দিয়ে যাবার সময় তারা দেখেন অধিকাংশ জোড়াফুলে রং নেই,কোথাও কোন ভাবে আঁকা রয়েছে,আবার কোথাও মাটি দিয়েও দেওয়ালে আঁকা রয়েছে তৃনমূলের জোরাফুল।
অনেক তৃণমূল নেতাদের এটাও বক্তব্য,সারা বছর ধরে এখন আর দলের প্রতীক গ্রামে গঞ্জে আঁকা হয় না।এর ফলে মানুষের স্মৃতি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক জোড়াফুল কে সেভাবে মনে রাখছেন না।সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন করেছিলেন শিল্পী তপন দাস, তিনি বলেন, ‘দলের তরফে সে ধরনের কোনো নির্দেশ থাকে না নির্দিষ্ট কোন রং দেওয়ার জন্য, তাই আমরা নিজেদের পছন্দমত রং দিয়ে ফুল গুলো এঁকে দি।’ সব মিলিয়ে বিশেষত্ব কি হারাচ্ছে প্রতীকের প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584