সিমা পুরকাইত, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
মায়ের ত্রিনয়নে পরবে রঙের পোঁচ। পিতৃপক্ষের অবসানে শুরু হবে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা।
অমাবস্যার শুরুতে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জল দেন বংশধররা। একে বলে তর্পণ। তর্পণ করা বলতে বোঝায় মৃত পূর্বপুরুষগণকে জলদান করা।
তর্পণ করার অন্যান্য দিন থাকলেও মহালয়ার দিন তর্পণ করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ । এইদিনে তর্পণ করা বিশেষ শুভ বলে ধরা হয়। কারণ আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের তিথিকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়া মানে দেবীপক্ষের সূচনা। এইদিনে পিতৃপুরুষেরা পিত্রালয়ে ফিরে যান। তাই তাদের জল নিবেদনের জন্য মহালয়া দিনটি পুণ্য লগ্ন।
মহালয়ার ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গার ধারে তর্পণ। ডায়মন্ড হারবার হুগলি নদী থেকে আদি গঙ্গা দক্ষিন বিষুপুর শ্মশান ঘাটে চলছে তর্পন।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ক্রেতার ভিড়, খুশি গোপীবল্লভপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা
এছাড়া কাকদ্বীপ লট নং আট ঘাটে চলছে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদান। দক্ষিন বিষ্ণুপুরের মহাশ্মশানে সাতটি ঘাটের হাজার হাজার ভক্তদের ভিড়।ভোর চারটে থেকে স্নান ঘাটে জমেছে ভিড়। অগনিত ভক্তরা এসেছে বিষ্ণুপুর শ্মশান ঘাটে।
শনিবার রাত থেকে অমাবস্যা পেয়েছে। মহালয়ার ভোর চারটে থেকে বিষ্ণুপুর শ্মশান ঘাটে ভিড় চোখে পড়ার মতো। যত বেলা বাড়ছে ততোই বাড়ছে ভিড়। আদি গঙ্গা দক্ষিন বিষ্ণুপুর হওয়াই কাকদ্বীপ,নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, রায়দিঘি, জয়নগর ,বিষ্ণুপুর থেকে বহু মানুষ এসেছেন এখানে। শুরু হয়েছে তর্পন। তর্পণ ঘিরে বেড়েছে নিরাপত্তার বহর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584