নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
ছত্তিশগড়ে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ বাহিনীর (আইটিবিপি) বাঙালি জওয়ান মাসুদুল রহমানের মৃতদেহ বাড়ি আসতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, আত্মঘাত নয়, তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, মাসুদুল রহমানের শরীরে পাওয়া গেছে গুলির ক্ষত। এই কথা জানাজানি হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের কাদেনার ক্যাম্পে বুধবার নিজের রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে ৫ সহকর্মীকে ঝাঁঝরা করেন নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিলকুমারী গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুল রহমান। পরে নিজে আত্মঘাতী হন তিনি। মানসিক অবসাদের জেরেই ওই জওয়ান গুলি চালান বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন তাঁর পরিবার। কিন্তু মৃতদেহ বাড়ি আসা মাত্রই তাঁরা দাবি করেন, তিনি নিজে আত্মঘাতী হননি, তাঁকে পিছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উন্নাও ধর্ষনকাণ্ডে নিগৃহীতাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযুক্তদের
মাসুদুল রহমানের দাদা মিজাউল রহমান বলেন, “ভাইয়ের শরীরের পিছনে গুলির ক্ষতস্থান দেখতে পেয়েছি যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাসুদুলকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার সত্যতা আমরা যাচাই করতে চাই। নিজের পিছনে গুলি করে কীভাবে আত্মঘাতী হওয়া সম্ভব? আমরা এই ঘটনার পুর্ণাঙ্গ ও সঠিক তদন্ত চাই”।
উল্লেখ্য, এ দিন বাড়িতে মাসুদুলের মৃতদেহ এলে গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়ে। একবার চোখের দেখা দেখতে বাড়িতে ভিড় করে কাতারে কাতারে মানুষ। জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পরই চাকরিতে যোগ দেন মাসুদুল। ২০০৮ সালে আইটিবিপি-তে যোগ দেন ওই জওয়ান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584