নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
প্রায় দুই মাস ধরে নিখোঁজ এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৈষ্ণবনগর থানায় ওই বৃদ্ধের নিখোঁজ ডায়েরি করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।সম্ভবত, বছর ৫৩ র ওই ব্যক্তিকে খুন করে মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে এদিন এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখায়।জানা গেছে,কালিয়াচক- ৩ ব্লকের বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুটোলা গ্রামের বাসিন্দা আনুমানিক ৫৩ বছর বয়সী হায়াত আলি পেশায় একজন শ্রমিক সরবরাহকারী।একটি কাজের শ্রমিক সরবরাহ করার জন্য তিনি লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জালাদিটোলার বাসিন্দা মণিরুল শেখ এবং রাহুল শেখকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।কিন্তু কথামতো শ্রমিক না মেলার কারণে টাকা ফেরতের জন্য ওই দুইজনকে হায়াত আলি চাপ দিতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ মাওবাদী আক্রমণে নিখোঁজ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির অবরোধ বিক্ষোভ
পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য মণিরুল এবং রাহুল ডেকে পাঠায় হায়াত আলিকে।তাদের কথামতো গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১৮ মাইল এলাকায় টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান।বেশ কয়েকদিনেও তার কোনা হদিশ না মেলার কারণে বাড়ির লোকেরা ৯ জানুয়ারি বৈষ্ণবনগর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন।পরের দিন দুইজনের নামে অপহরণের অভিযোগ করা হয়।
তারপরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর গত শুক্রবার হায়াত আলির এক ভাই জামাল শেখ মণিরুলের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোনোয় ভাইয়ের খোঁজে গেলে পুলিশ উল্টে তাকে আটক করে রাখে। শুক্রবার সকালে খেজুরিয়া শ্মশানের কাছে বাধের ধারে হায়াত আলির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
মৃতদেহের মুখ ভারি কিছু দিয়ে থেতলে দেওয়া হয়েছিল।খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584