রিচা দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ
ডুয়ার্সের আদি জনজাতি মেচ উপজাতি। আনুমানিক পাঁচ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তিব্বত থেকে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন গোপন রাস্তার মাধ্যমে। তারপর থেকেই মেচ নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাদের বসবাস।
মেচ নদীর তীরবর্তী বসবাসের কারণেই তাদের মেচ উপজাতি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মেচ জনজাতির জনসংখ্যা মাত্র তিন লক্ষ কুড়ি হাজার এবং ধীরে ধীরে তাদের এই উপজাতি নির্মূল হয়ে যাচ্ছে।
অনেকে আছেন যারা এই মেচ উপজাতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাদের মানুষের সামনে তুলে ধরতে তাদের জনজীবন তাদের জীবিকা তাদের বসবাসের ধরন ধরণ এই সমস্তকে তুলে ধরতে সেই আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্সের আদি জনজাতি মেচ উপজাতির মানুষগুলোকে সরাসরি সেখান থেকে তুলে নিয়ে এসে এবং ঠিক যে পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে ওনারা বসবাস করেন চারিদিকে সবুজায়ন তারমধ্যে বাঁশের বেড়া, গাছের পাতার ছাউনি মাটির দালান এই সমস্ত কিছু ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের পুরো চিত্রটা তুলে এনে মানুষের সামনে থিম আকারে তুলে ধরেছেন বাবু পাড়া সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি।
আরও পড়ুনঃ শারদোৎসবের আনন্দে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দাঁতনে
প্রতিবছরই নিত্যনতুন থিম করেন এই পুজো কমিটি। প্রতিবছরই সবুজের একটা ছোঁয়া এবং বিভিন্ন উপজাতি মানুষের সামনে তুলে ধরেন এই পুজো কমিটি।
এবারও ঠিক একই রকম ভাবে একটি উপজাতিকে তারা তুলে আনলেন। তারা ঠিক যে ভাবে যে পরিস্থিতিতে থাকেন তার একটি ছোট্ট নিদর্শন এই পুরো পুজোমণ্ডপে ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে জোড়া পুকুর আবাসনে মহিলাদের উদ্যোগে পুজোর সূচনা
এমনকি মাতৃ প্রতিমাতেও রয়েছে তাদের বেশ। তারা যেরকম ঘরে থাকেন সেরকম একটি ঘর করে সামনে মা দুর্গা স্থাপন করা হয়েছে সপরিবারে। মা দুর্গার বেশ পুরোটাই রয়েছে সেই উপজাতিদের বেশে।
এই পুজোর উদ্বোধন করলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি যথেষ্ট প্রশংসা করলেন এবং দাঁড়িয়ে থেকে সেই উপজাতিদের যে নৃত্যকলা সেটিকে দেখলেন। সেইসঙ্গে শুভেচ্ছা দিলেন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি সমস্ত জেলাবাসীকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584