কালনায় মহিষমর্দিনী পুজোর সূচনা

0
589

শ্যামল রায়,কালনাঃ

প্রতি বছরের মতো এবছরও কালনা শহরে প্রায় তিন শতাধিক বছরের প্রাচীন মহিষমর্দিনী পূজা শুরু হয়ে গেল আজ থেকে।পুজোর প্রাক্কালে নাম সংকীর্তন নগর পরিক্রমা মধ্যে দিয়ে পুজোর শুভ সূচনা হলো।জানা গিয়েছে যে আগামী ১৫ ই অগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে চার দিনের মহিষমর্দিনী পুজোর সম্পূর্ণ পুজো শুরু হয়ে যাবে।

durga puja start in kalna | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

পুজো কমিটির সভাপতি বিজন সেট ও সম্পাদক শংকর পাল জানিয়েছেন যে মহিষমর্দিনী পূজা ঘিরে নাম সংকীর্তন ভক্তি গীতি বাউল গীতি হরিনাম সংকীর্তন বাউল যাত্রা অভিনয় বলিদান প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

আজ থেকে পুজোর সূচনা হলো নাম সংকীর্তন ও নগর পরিক্রমা মধ্যে দিয়ে।আগামী বৃহস্পতিবার পুজোর প্রথম দিনে বলিদান এবং অন্যান্য পুজো হবে।

এলাকা বাসীর কাছে এই মহিষমর্দিনী পূজা দূর্গা পূজার মত।চার দিন ধরে চলা এই পুজো ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়।দেবী মৃন্ময়ী দর্শনের জন্য ভিড় জমান ভক্তবৃন্দ।এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে মহিষমর্দিনী পূজা কালনার মানুষের কাছে আগমনীর বার্তা বয়ে আনে।

আরও পড়ুনঃ মা দুর্গা দেবী ট্রাস্টের উদ্যোগে খুঁটি পুজো শুরু জলঙ্গীতে

কথিত অনেকেই মানত করে ফলাফল পাচ্ছেন। তাই পুজোর সময় দেবীকে অনেকেই সোনার গহনা থেকে বস্ত্র পর্যন্ত দান করে থাকেন।এ বছরও বহু নামি দামি শাড়ি উপহার দেয়া হবে মহিষমর্দিনী কে।মৃন্ময়ী দেবীর দুই পাশে থাকে জয়া ও বিজয়া।

পুজো কর্তৃপক্ষের জানান, “পুজোর সময় পাওয়া প্রচুর শাড়ি আমরা বিভিন্ন গরীব ও দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বিতরণ করে থাকি এছাড়াও দরিদ্র কন্যাদের বিয়েতেও দেয়া হয় এই শাড়ি তার জন্য আগাম আবেদন জানাতে হয়।

এ বছরও তার খামতি নেই।” পুজো কমিটির সম্পাদক শংকর পাল জানিয়েছেন দেবীকে পড়ানোর জন্য বহু ভক্ত শাড়ি মানত করে দিয়ে থাকেন।বিসর্জনের আগে দেবী ও জয়া বিজয়ের পরনের দামি শাড়ির পরিবর্তন করে অন্য বস্ত্র পরিয়ে দেবীকে ভাসান দেয়া হয়। তাই এই সমস্ত দামি শাড়ি গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে।

সমস্তটাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।সব ধর্মের গরিব মানুষের জন্য দেবীর শাড়ি দেয়া হয় শাড়ির সঙ্গে দেবীর আশীর্বাদ থাকে বলেই আমরা মনে করি জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সদস্যরা।

কালনা থানার পুলিশের তরফ থেকেও মহিষমর্দিনী পূজা ঘিরে নজরদারি বাড়িয়েছে কালনা ফেরিঘাট সহ জনবহুল এলাকা গুলোতে। পুজো ঘিরে যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে ভাগীরথী নদীতে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও সিভিক।

কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ ভাগ জানিয়েছেন যে ঐতিহ্যশালী কান্নার মহিষমর্দিনী পূজা আমাদের পৌরসভার তরফ থেকে শিবির করা হয় এবং আগত দর্শনার্থীদের সমস্ত রকম সহযোগিতা ফেরিঘাটে নজরদারি রাখা হয়। পুজো যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে শান্তিতে পুজো হয় তার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here