মাতৃযান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রোগীরা

0
50

শ্যামল রায়,নদীয়াঃ

নদীয়া জেলার করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এ মাতৃযান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের লোক জনেরা।মঙ্গলবার জানা গিয়েছে যে ওই গ্রামীণ হাসপাতাল এ ৬ টি গাড়ির মধ্যে বর্তমানে তিনটি মাতৃযান চালু রয়েছে।

মাতৃযান এর সব গাড়ি না চলায় গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের হাসপাতাল এ নিয়ে আসার ক্ষেত্রে চরম সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গিয়েছে যে ভাড়া বাবদ বকেয়া টাকা না পাওয়ায় চালকরা সব গাড়ি চালাচ্ছেন না। ফলে টাকা খরচ করে বাইরে থেকে অন্য গাড়ি ভাড়া করে প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে ফলে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন অনেক গর্ভবতী মহিলারা।

আরও পড়ুনঃ আউটডোর বন্ধে রোগীদের ক্ষোভ

ফলে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় জানিয়েছেন যে বকেয়া টাকার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে জানিয়েছি টাকা এলেই মিটিয়ে দেয়া হবে এবং পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় তার দিকে ইতিমধ্যেই নজর দেওয়া হয়েছে।
করিমপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে করিমপুর এট নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রসূতি ও সদ্যোজাত দের বিনামূল্যে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় এইসকল মাতৃযান।

আবার রেফার করা রোগীদের করিমপুর হাসপাতাল থেকে সরকারি খরচে কৃষ্ণনগর বা তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় কিন্তু মাতৃযান ঠিকমতো পরিষেবা না দেওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।

অভিযোগ উঠেছে যে মাতৃযান এর বকেয়া টাকা না পাওয়ায় গাড়ি চালকরা গাড়ি চালাচ্ছেন না।হাসপাতালে সুপার মনীষা মন্ডল জানিয়েছেন যে মাতৃযান এর অভাবে সমস্যা।মাতৃযান এর অভাবে সমস্যা হচ্ছে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আশা করছি বকেয়া টাকা পেলেই পরিশোধ করে দেওয়া হবে তবে মাতৃযান স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here