শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ
মায়াপুর ইসকনের রথ বের হলো রাজাপুর থেকে। এদিন রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে রথ বের হয়। এই রথের দড়িতে হাত লাগান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ।
রফিকুল ইসলাম, জমিরুল বিবি, আসমিনা খাতুন, মনিরা খাতুন,পারভিন শাহানা প্রমূখ জানালো তারা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।তাঁরা বলেন, “রথ বের হতেই আমরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যায় এবং রথের দড়িতে হাত লাগাই এবং প্রসাদ গ্রহণ করি এই রথযাত্রা আমাদের কাছে সম্প্রীতির বার্তা এনে দেয়।”
ইসকন এর প্রধান কর্মকর্তা দয়ারাম দাস জানিয়েছেন যে প্রতিবছরের মতো এবছরও ইসকনের রাজাপুরের জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে রথযাত্রা বের হয় সকাল থেকে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক এই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সামিল হয়েছেন এবং রথের দড়িতে হাত লাগিয়েছেন।উপস্থিত ছিলেন ইসকনের মহারাজগঞ্জ এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী ভক্তরা।
ইসকন থেকে ৫ কিলোমিটার দূর চন্দ্রোদয় মন্দির এখানেই মাসির বাড়িতে সাত দিন থাকার পর আবার উল্টো রথে সুভদ্রা বলরাম চলে যাবে রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দির।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে রথযাত্রার প্রস্তুতি
মায়াপুর ইসকনের রথের সাথে সাথে নবদ্বীপ মন্দিরেও পালিত হয়েছে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।প্রাচীন মায়াপুরে এবং সুদর্শন মন্দির মনিপুর গৌড়ীয় মঠ থেকেও বের হয়েছিল রথ।এখান থেকে রথ বেরিয়ে পোড়ামা তলা হয়ে শহর পরিক্রমা করেছে বিভিন্ন মঠ মন্দির থেকে বের হওয়া রথ।
এছাড়াও পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের বিধান নগরে ও শ্রী চৈতন্য সেবা সমিতির তরফ থেকেও রথযাত্রা পালিত হয়েছে। শ্রী চৈতন্য সেবা সমিতির সম্পাদকা এবং ভক্তরা জাঁকজমকভাবেই জগন্নাথ দেবের পুজো করে আসছেন।বিনামূল্যে সারাদিনব্যাপী প্রসাদ বিতরণ ব্যবস্থা ছিল এদিন।বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষাবিদ বিভাস বিশ্বাস জানিয়েছেন যে ৭দিন ধরে ভক্তদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রসাদ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন দিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সেই সাথে জগন্নাথ দেবের পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়াও হেমাতপুর থেকেও রথযাত্রা শুভসূচনা করেছেন রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক স্বপন দেবনাথ।রথ যাত্রার শুভ সূচনা করে তিনি জানিয়েছেন যে, “রথ সম্প্রীতির বার্তা বহন করে এবং নগর কীর্তন সহ এলাকার ভক্তদের নিয়ে রথ প্রতিবছরের মতো এবছরও বের হয়েছে।রথ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় বসেছে মেলা।
আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে বিদ্যানগর হেমাতপুর নবদ্বীপ শহর।পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ছিল কড়া নজরদারি শান্তি বিঘ্নিত না হয় তার জন্য ছিল প্রচুর পুলিশ এবং সাদা পোশাকের পুলিশ জনগণ এলাকায় এবং রথযাত্রা প্রাঙ্গণে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584