শ্যামল রায়,কালনাঃ
প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন মানুষজন। শেষমেষ ঝড়বৃষ্টি হলো।গরমের হাত থেকে রেহাই পেলেন সাধারণ মানুষ।সোমবারের বৃষ্টিতে ভীষণ ভাবে খুশি জেলাবাসী।বৃষ্টিতে প্রকৃতিতে এসেছে নির্মল স্নিগ্ধতা। চারদিকে সবুজের সমারোহ।আরো বৃষ্টি হলে ফসলের ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ভারি ও আংশিক বৃষ্টিপাতকে আর্শিবাদ হিসেবে দেখছেন কৃষকরা।
বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের কিছুটা উপকার হয়েছে।এভাবে যদি আরও দুই একদিন বৃষ্টি হয় তাহলে জল না পাওয়া জমির চারাগুলো অনেক লাভবান হবে।কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে জেলায় ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।এবারের প্রকৃতি বোরো চাষের অনুকূল।রবিবার রাতে জেলা জুড়ে বৃষ্টিতেই অবশেষে হাসি ফুটল চাষিদের মুখে।
আরও পড়ুনঃ ঝড় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্রদর্শনে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক
তীব্র গরমে যেখানে সবজি ও সমস্ত ধরণের ফসল শুকিয়ে গিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেখানে চাষের জমিতে বৃষ্টির জল পরায় আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেল পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষিরা। নানা ধরণের শাক, সবজি ও নানা ফলের ক্ষেত্রেই ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমেছে।পাশাপাশি তাপমাত্রা কমায় ক্ষেতের ফসলও খুবই তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে জেলা কৃষি উদ্যান পালন দফতর।একই সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি না হওয়ায় বোরো ধানেও ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে দফতর।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,পূর্ব বর্ধমান জেলার বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় ও অন্যদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পরে সমস্ত ধরনের ফসল ও সবজি।জেলার মধ্যে প্রায় ৩৪ হাজার জমিতে সবজি চাষ হয়েছিল যা জলের অভাবে শুঁকোতে শুরু করেছিল। পটল, ঝিঙে,পুঁই শাক,বেগুন,কুমরো,লাউ গাছ প্রায় শুকিয়ে যায়।
লতানো গাছের ক্ষেত্রে ফুলের উৎপাদন কমে যাছিল।তাই স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যহত হচ্ছিল। অন্যদিকে চাষিদের অতিরিক্ত জল সেচ দেওয়ায় চাষের খরচও বাড়ছিল।তবে রবিবার পর সোমবারের সন্ধ্যার বৃষ্টিতে সমস্ত ধরণের ফসল খুবই ভালো হবে আশায় বুক বাঁধছে চাষীরা।পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর থেকে জানা গিয়েছে,মূলত তিল চাষে খুবই লাভ পাবে চাষিরা।বৃষ্টি কমে যাওয়ায় তিলের উৎপাদন কমে যাচ্ছিল।
এখন আর সেই সম্ভাবনা নেই। পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”এই বৃষ্টি সম্পূর্নটাই লাভবান হল চাষিরা।ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা নেই।”তিনি আরও জানান, কালনা, কাটোয়া, রায়না, খন্ডঘোষ, মন্তেশ্বরে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে বোরো চাষেও ক্ষতি হবে না।তবে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে কয়েক জায়গায় শিলা বৃষ্টি হওয়ায় খবর পাওয়া গিয়েছে,যার রিপোর্ট তৈরি করেছে দফতর।
এছাড়াও জেলার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।যার বেশির ভাগটাই কাটা হয়ে গিয়েছে।কালনা মহকুমা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক পলাশ সাঁতরা জানান,” অনা বৃষ্টি ও গরমে সবজিতে স্ত্রী ফুল বেশি হচ্ছিল না।
তাই উৎপাদন কমে যেতে পারত। বৃষ্টিতে কিছুটা রেহাই পেল চাষিরা।” কালনার সিমল এলাকার এক চাষি গৌতম ঢক বলেন,” সবজিতে ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেলাম।” দাবদাহ থেকে কিছুটা স্বস্তিতে সবাই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584