মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
এলাকার নবাগত দলীয় নেতা কর্মীদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন কোচবিহারের সিতাই এলাকার এক আদি বিজেপি নেতা।আজ একটি ভিডিওতে তিনি বক্তব্য রেখেছেন যে তার খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিজেপির যুব মোর্চার ওই নেতার নাম প্রশান্ত বর্মণ। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিতাই এলাকা থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছিলেন।
এদিন ওই ভিডিওতে প্রশান্ত জানিয়েছেন, “সিতাইয়ে এখন বিজেপি করা অসাধ্য হয়ে উঠেছে। নূর মহম্মদ প্রামাণিক ও পরিমল রায়ের নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে। যারা পুরানো বিজেপি, তাঁদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। হাতে লাঠি, বল্লম, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একদল দুষ্কৃতি মুখে কালো কাপড় বেঁধে আমাকে খুন করার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃত বিজেপি নেতা
তিনি ওই ভিডিওতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার নাম উল্লেখ করে বলেন, জগদীশ বসুনিয়ার দুষ্কৃতি বাহিনীকে যখন ভয় পাই নি। তখন আজকেও ভয় পাবো না। সিতাইয়ের সাধারণ মানুষ আমার পাশে আছে। তাঁদের নিয়ে বিজেপিকে এই এলাকায় রক্ষা করার জন্য লড়াই করে যাবো।”
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি জয় পাওয়ার কিছু দিন পর থেকেই সিতাইয়ে নব্য বনাম আদি বিজেপির মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়।
সেই সময়ও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নূর মহম্মদ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা প্রশান্ত বর্মণ। কিন্তু তখনই প্রশান্ত বিজেপির কেউ নয় বলে জানিয়ে তাঁর সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নূর মহম্মদ প্রামাণিক। তবে দলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব সিতাইয়ে বিজেপির ওই অন্তর্কোন্দল নিয়ে দলগত ভাবে তদন্ত করার সিধান্ত নিয়েছে। এদিনই জেলা কার্যালয়ে ওই ঘটনা নিয়ে একটি বৈঠকও হয়েছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, “কালকে জোনাল অবজার্ভার ও জেলা কমিটির কয়েকজন: সদস্য আগামী কালকেই ওই এলাকায় গিয়ে প্রকৃত ঘটনা কি তা জেনে আসবে। তারপরেই দলীয় ভাবে বৈঠক করে ওই বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিধান্ত নেওয়া হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584