নিষেধাজ্ঞা উঠতেই খুশির হাওয়া মৎসজীবীদের পরিবারে

0
38

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

the fisherman happy
নিজস্ব চিত্র

মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই অবশেষে মুখে হাঁসি ফুটলো জেলার মৎস্যজীবীদের মুখে। গত ১৫ই এপ্রিল থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত রাজ্য মৎস্য দফতর থেকে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা উঠতে অবশেষে মুখে হাঁসি ফুটলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৎস্যজীবীদের মধ্যে। জেলার দিঘা,রামনগর,মন্দারমনি সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বসবাসকারী মানুষদের বেশিরভাগই মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

the fisherman happy
বরফ ভেঙে সংগ্রহ সংরক্ষণের জন্য।নিজস্ব চিত্র

কিন্তু মৎস্য দপ্তর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠেছিল এই সমস্ত মৎস্যজীবীদের মধ্যে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা উঠতে কার্যত খুশির মেজাজে এখন জেলার মৎসজীবীরা। চলতি মরশুমে মৎস্যজীবীরা মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার ফলে তেমন ভাবে ইলিশ মাছেরও আমদানি হয়নি।

আরও পড়ুনঃ

the fisherman happy
ট্রলার সাজিয়ে তৈরি হওয়ার পালা।নিজস্ব চিত্র
the fisherman happy
নিজস্ব চিত্র

ফলে এবছর জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে তেমনভাবে ইলিশের আনাগোনাও দেখা যায়নি। তাই এবার মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ইলিশের পর্যাপ্ত আমদানি হবে বলে মনে করছেন জেলার মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। বছরের মূলত এপ্রিল-মে মাসের দিকে মাছেদের প্রজনন কাল হিসেবে ধরা হয়। এরপর মাঝের বাচ্চা অর্থাৎ মিন জলে ঘোরাফেরা করে।

তাই এই সময় রাজ্য মৎস্য দফতর থেকে মৎস্যজীবীদের মাঝ সমুদ্রে মৎস‍্য আহরণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফলে কার্যত কয়েকদিন ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। সমুদ্রে মৎস‍্য আহরণ করতে না যেতে পারার ফলে এবছর তেমনভাবে ইলিশেরও আমদানি হয়নি।

তবে যে অল্প পরিমাণে ইলিশের আমদানি হয়েছিল তার বাজারদর ছিল অগ্নিমূল‍্য। ফলে নিম্নবৃত্ত মানুষদের পাতে তেমনভাবে ইলিশ পড়েনি বলা চলে। তবে এবার মৎস্যজীবীরা মৎস‍্য আহরণের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাওয়ায় ইলিশের পর্যাপ্ত জোগান মিলবে বলে মনে করছেন মৎস‍্য বিশেষজ্ঞরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই মৎস‍্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে গত কয়েকমাস মৎস‍্য আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার মৎস‍্য দপ্তর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরই এখন গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলার মৎস্যজীবীরা।

আগামী প্রায় দশমাস তারা নিজেদের পরিবার পরিজনদের ছেড়ে মৎস‍্য আহরণ করতে সমুদ্রে যাবেন।তাই এখন মনে দুঃখের ছায়া মৎস্যজীবীদের পরিবারের মধ্যে। দিঘার এক মৎস্যজীবীর কথায়,”আমাদের সংসার নির্ভর করে এই মৎস‍্য আহরণের ওপর।তাই পরিবারের মায়া ছেড়ে মৎস্য আহরণ করতে মাঝ সমুদ্রে যেতে হয়।”
সবমিলিয়ে একদিকে  যেমন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খুশি অপরদিকে পরিবার ছেড়ে থাকার দুঃখে এখন বিভোর জেলার মৎস্যজীবী সমাজ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here