মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
গত ২৭ জুলাই একটি বিমান নামে কোচবিহারে। সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এই বিমানে করে কোচবিহারে আসেন এবং সেই দিনের বিমান পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু এই পরেই রাজ্য সরকার কোচবিহার বিমান বন্দর থেকে তাঁদের নিরাপত্তা কর্মীদের তুলে নেয় বলে অভিযোগ।
নিয়মিত পরিষেবা দুরস্থ সেদিন কোচবিহারে আসা ওই ছোট বিমানটি উড়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পায় নি বলে জানা যায়।এর ফলে ৪৫ দিন বিমানটি কোচবিহার বিমান বন্দরে অবস্থান করে।অবশেষে ওই বিমানটির উড়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলায় সোমবার বিকেলে কোচবিহার বিমান বন্দর থেকে উড়ে যায়।
সাধারন মানুষ ভেবেছিল সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের হাত ধরে কোচবিহারে চালু হবে নিয়মিত বিমান পরিষেবা।কিন্তু তা বাস্তবে সম্ভব হয় নি।যদিও রাজ্য সরকারের অনিচ্ছাতেই এই পরিষেবা চালু করা যায় নি বলে মত প্রকাশ করেন সাংসদ।তিনি বলেন,নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রাজ্য সরকার তার নিরাপত্তা বিমান বন্দর থেকে তুলে নেওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়।
রাজ আমলে এই বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত বিমান চলাচল করত।পরবর্তীতে ৯০ এর দশক পর্যন্ত বিমান চলাচল হয়েছে।কিন্তু এর পরই এই পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।এরপর দীর্ঘ আন্দোলন হলেও আকাশ পথে যান চলাচল স্বপ্ন থেকে কোচবিহারের মানুষের কাছে।
আরও পড়ুনঃ রেশন কার্ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বিশেষ শিবির মহিষাদলে
তবে নিয়মিত বিমান পরিষেবা চালুর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার তৎপর হয়ে এর পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয় বিভিন্ন সময়।কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার থাকার সময়কালেও এই পরিষেবা চালুর চেষ্টা হয়।
রাজ্যে বামফ্রন্টের থেকেও পরিবর্তনের তৃণমূলের সময় কালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বিমান চলাচল স্থায়ী হয়নি।তবে অনিয়মিতভাবে কোচবিহার দমদম বিমান চলাচল করেছে।
এবারে স্থায়ী হবে বিমান পরিষেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ভোটের সময়কালে।লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে জয়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক।এরপরই তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে তৎপর হয়।চট জলদি সে কাজও এগোয়।
৯ আসন বিশিষ্ট ছোট বিমান দিয়ে এই পরিষেবা চালু করার কথাও বলেন সাংসদ।কোচবিহার-দমদম না হলেও এই বিমান পরিষেবা কোচবিহার-গৌহাটি/কোচবিহার-বাগডোগরা রুটে।কিন্তু বাস্তবে এই সময়ে তা সম্ভব হল না বলে মনে করছে ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584