মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
চাকরি ও অতিরিক্ত সুদ দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে কোচবিহার শহরের নিউটাউন ছাটগুড়িয়াহাটি এলাকায়। অভিযুক্ত দম্পতি কমলেশ রায় ও তার স্ত্রী সরস্বতী রায় ভৌমিক। তার বাড়ি কোচবিহারের খাপাইডাঙ্গা এলাকার।ওই দম্পতি কোচবিহারের নিউটাউন এলাকায় থাকতেন।আজ তাদেরকে এলাকাবাসি আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত কমলেশ রায় নামে ওই ব্যক্তির মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরে তাঁরা কোচবিহার কোতোয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের কে আটক করে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,কোচবিহারের খাপাইডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কমলেশ রায় ও তার স্ত্রী সরস্বতী রায় ভৌমিক এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যাত্রীবোঝায় গাড়ি উল্টে মৃত এক,আহত পঁচিশ
শুধু চাকরি দেওয়ার নাম করেই টাকা নেওয়াই নয় সুদেও বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল ওই দম্পতি। সেই বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা।প্রতারিতরা সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের নানা অজুহাত দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ।এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ, তাঁরা শুধু নিউটাউন এলাকা থেকেই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলেননি।
এমনকি শহরের বাজার মাঠ এলাকা থেকেও বহু মানুষের কাছ থেকে তাঁরা টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ।এদিন বিকেলে প্রতারিতরা ওই দম্পতির কাছে টাকা চাইতে গেলে তাঁরা টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপরেই প্রতারিতরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।পরে তাঁরা কোচবিহার কোতোয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের কে আটক করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত সরস্বতী রায় ভৌমিক বলেন, অনেক ঋণ হয়ে গেছিল তাই আমি একজনের কাছ থেকে টাকা এনে আরেক জনকে দিতাম। কিন্তু কাউকে চাকরি করে দিব বলে টাকা নিইনি।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহা অভিযোগ করে বলেন,“আমাদের এখান থেকেই ওই দম্পতি প্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি তুলেছে।শুধু এখান থেকেই টাকা তোলাই নয় এছাড়াও বাজারের মাঠ থেকেও লক্ষাধিক টাকা তুলেছে।” সব মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে বলে তার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584