রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ

পূরণ হয়ে যাচ্ছে প্রধানের স্বপ্ন।হ্যাঁ ,ঠিকই শুনেছেন,স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাচ্ছে প্রধানের।
কে বা এই প্রধান কি বা তার স্বপ্ন।মুর্শিদাবাদের সুতি ওয়ান ব্লকের বহুতালী অঞ্চলের প্রধান আব্দুল শেখ।প্রধান সাহেব জানান পঞ্চায়েত গঠন করার পর তারা কিছু বিশেষ জিনিসের ওপর গুরুত্ব দেন,প্রথমত আসে শিক্ষা , আইসিডিএস স্কুল,স্বাস্থ্য এবং কালচার এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।


তিনি জানান “এই অঞ্চল কৃষির ওপর নির্ভর,যদি এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয় তাহলে কৃষি কাজের ওপর নজর দিতে হবে।


তাই তিনি তাদের মেম্বারের সঙ্গে আলোচনায় বসার পর একটি পরিকল্পনা বানান তারপর এই পরিকল্পনাটি এইচডিও,ডিএম সাহেবকে দেন।তাছাড়াও এই বহুতালী অঞ্চলকে ঘিরে ৫-৬ টা প্রপোজাল যাই,সেটাও আমাদের এ্যাপ্রুভ হয়েছে।গোটা ৩ বছরে বিভিন্ন ফান্ড থেকে আমরা ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা পাবো। তার স্বরূপ কৃষির চরম উন্নয়ন হবে।”
আরও পড়ুনঃ আর্থিক অনটনের মধ্যেই লড়াই করে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নূরজামাল

তাছাড়াও ইকো হাট বলে এক প্রজেক্ট,বড় পার্ক,অনুষ্ঠান ভবন,এছাড়াও তিনি তার নিজের উদ্যোগে করতে চলেছেন একটি ক্রস বাঁধ তার জন্য তাকে অনেকেই সাহায্য করে বোল্ডার বালি দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার পাশে এলাকার সমস্ত কৃষকরা আছে এই অঞ্চলের জমি গুলিতে বর্ষাকাল ছাড়া অন্য কোন সময় ধান চাষ করা সম্ভব হতো না তাই এই জমিগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকতো।
অনেকেই পেটের দায়ে বাইরে চলে যেত কিন্তু যদি এই বহুতালী গ্রামে বিভিন্ন প্রকার ফলের চাষ হয় তাহলে আর তাদের বাইরে যেতে হবে না গ্রামে তারা কাজ করে খেতে পারবে।’ কৃষকরা জানান,”প্রধান সাহেবের এই কাজ থেকে আমরা খুব আনন্দ পেয়েছি এতে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই ১০০ % লাভ শুধু আমি নয় এলাকার সমস্ত কৃষকরাই খুশি হয়েছে। রাত দিন চাষের সুবিধা পাবো এবং মজে যাওয়া নদী পুনরায় আবার জলে ভরে উঠবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584