শ্যামল রায়,কালনাঃ

মন্দিরময় কালনা কে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করার সাথে সাথে অজানা তথ্যকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্য একটি গাইড ম্যাপ এবং তথ্যচিত্র প্রকাশ্যে আনার উদ্যোগ নিল কালনা মহকুমা পুরাকীর্তি চর্চা কেন্দ্র।ইতিমধ্যেই কালনা কে পর্যটক মানচিত্রে স্থান দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পূর্বতন পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিং এবং গৌতম দেব সহ একাধিক মন্ত্রী কালনা শহর পরিদর্শন করেছেন এবং পর্যটন মানচিত্রে স্থান দেওয়ার সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন।তবে পর্যটন মানচিত্রে স্থান না পেলেও প্রতিদিন মন্দির কালনা শহরে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক আসেন এবং এখানকার গেস্ট হাউসে থেকে যান তারপর নবদ্বীপ মায়াপুরে ঘুরে দেখেন।জানা গিয়েছে যে কালনা শহরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীণ পুরাকীর্তি।
আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত ‘সাগরদ্বীপের কথা’
যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।এই পুরাকীর্তি দেখতে সারাবছর ধরে লেগে থাকে দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা।পর্যটণ মানচিত্রে কালনাকে তুলে আনতে রাজ্য সরকার উদ্যোগও নিয়েছেন।কিন্তু কালনা শহরের কোথায় কি রয়েছে তা বাইরের পর্যটকদের কাছে যেমন অজানা তেমনিই নেই কোনো উপযুক্ত গাইডও।
তাই রবিবার বিকালে কালনার সত্যময় সাধারণ পাঠাগারে একটি তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি একটি গাইড বই উন্মোচন করা হয়।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায়,সিনে সোসাইটির সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর আচার্য,কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বজিৎ গাইন,ভাষাপথের সম্পাদক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টজনেরা।
সিনে সোসাইটি,ভাষাপথ,কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে চলা এইদিনের অনুষ্ঠানে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় কালনা শহরে থাকা রাজবাড়ী,১০৮ শিবমন্দির,সাধক ভবাপাগলার ভবানী মন্দির,সাড়ে পাঁচশো বছরের প্রাচীণ দাঁতনকাঠিতলার মসজিদের মতো অসংখ্য স্থাপত্য,ভাস্কর্যে মোড়া পুরাকীর্তির বিষয় নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তথ্যচিত্র,চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।প্রাবন্ধিক সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এক গাইড বই উন্মোচন করেন।
এই বিষয়ে সনৎবাবু বলেন,‘কালনার শহরে পুরাকীর্তি দেখতে অনেক বাঙালি,অবাঙালি, হিন্দীভাষী,বিদেশী পর্যটকরা আসেন।কিন্তু বাংলা ভাষার গাইড বইয়ে তারা নিজেরা বুঝতে পারেননা।তাই তাদের সুবিধার্থে বাংলা,হিন্দী ও ইংরাজী এই তিন ভাষার রঙ্গিন প্রচ্ছদ ও তথ্য সহকারে চব্বিশ পাতার একটি বই প্রকাশ করি।’এমন একটি বই হাতে পেয়ে খুশি কালনাবাসীও।
কালনায় রয়েছে অসংখ্য মন্দির তাই অনেকের কাছেই অজানা থাকলেও একটি বই অর্থাৎ গাইড ম্যাপ থাকলে অনেকের ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে এমনটাও জানিয়ে দিয়েছেন নাগরিক সমাচার নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক পুলক মন্ডল। পুলকবাবু জানিয়েছেন যে, ‘মন্দিরময় কালনাকে আরও ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে বহিরাগত যারা পর্যটক এখানে আসবেন তাদের যাতে কোনো রকম সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে আমাদের নজর দেয়া দরকার তবে কালনা মহকুমা পুরাকীর্তি চর্চা কেন্দ্র যে ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশংসার দাবি রাখে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584