শ্যামল রায়,মন্তেশ্বরঃ
রবিবার সকাল বেলা জেসমিনা খাতুন(১৭) নামে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বর থানার মামুদপুর গ্রামে। ছাত্রীর মৃতদেহ ঘিরে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্য এলাকায়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগঃ
বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন এই মৃত্যুর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি হোক।প্রথমে মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপরে সিআইএ’র কথা মতো গ্রামবাসীরা মৃতদেহ নিতে সম্মতি জানায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে,মৃত কিশোরীর মা পরকীয়ায় জড়িত থাকার ঘটনা মেয়ে মেনে নিতে পারেননি,এবং মায়ের এই সম্পর্ককে প্রতিবাদ জানালে বারবার অত্যাচার সহ মারধোর হয়েছে মেয়ের উপর। মায়ের অত্যাচারে বহুবার বাড়ি ছাড়া হয়ে দিদির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতো মেয়ে। কিছুদিন আগেও মায়ের পরকীয়া বিষয় নিয়ে গ্রামীন সালিশি এবং থানা পর্যন্ত গড়ায়। শেষমেষ জানা গিয়েছে যে মেয়েটি দিদির বাড়িতে আশ্রয় নিলেও ফের বাড়িতে ফিরে আসে গ্রামের বাসিন্দা এবং পুলিশের কথামতো।তার কয়েকদিন পরেই এমন ঘটনা ঘটলো।রবিবার জেসমিনা খাতুন যে ঘরে থাকতো ঘরের দরজা ভাঙ্গা ছিল ওড়না গলায় ঝুলছে এমনটাই দৃশ্য দেখতে পেয়েছে প্রতিবেশীরা।স্থানীয়দের দাবি জেসমিনা খাতুন নিজে আত্মঘাতী হয়নি তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে যে বাবা আরমান শেখ প্রতিবেশী আয়াত মোহাম্মদ শেখকে ডেকে তার মৃত্যুর খবর জানায় এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।তবে গ্রাম সূত্রে খবর জেসমিনা খাতুনের মা তোহোরা বিবি ওরফে ফেরদৌসী রাতের দিকে বাড়িতে এসেছিল বলে এলাকায় গুঞ্জন কিন্তু এর সত্যতা কতদূর তা পুলিশের কাছেও কোন খবর নেই।গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন যে, মেয়ের মৃত্যুর সাথে তার বাবা-মা এবং অন্য কেউ জড়িয়ে থাকতে পারে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা দোষীদের খুঁজে বের বের করুক এবং আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি হোক।স্থানীয় বাসিন্দারা রাখো হরি ঘোষ,কুরবান শেখ,ফরিদ শেখ প্রমুখ মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগের আঙুল তুলেছে মায়ের দিকে।
আরও পড়ুন: নিউজফ্রন্ট খবরের প্রতিক্রিয়াঃ স্টেশন পরিদর্শনে রেল আধিকারিক,দেখলেন যানজট
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584