নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
দলীয় কার্যালয়ের দখল ঘিরে উত্তপ্ত ব্যারাকপুর। সংঘর্ষে মাথা ফাটল অর্জুন সিংয়ের।
![](https://newsfront.co/wp-content/uploads/2019/09/the-heavy-conflict-in-barrackpore-1024x525.jpeg)
বিজেপির একের পর এক পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করছে বলে অভিযোগ তুলে এ দিন রাস্তায় নামে বিজেপি। ব্যারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষও শুরু হয়।
অবস্থা আয়ত্তে আনতে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ নামায় ব্যারাকপুর কমিশনারেট। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের মাথা ফেটেছে সংঘর্ষে।
![](https://newsfront.co/wp-content/uploads/2019/09/the-heavy-conflict-in-barrackpore2-1024x576.jpeg)
তারপর থেকেই ভাটপাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বেলা ১০টা নাগাদ শ্যামনগর ফিডার রোডে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে, বাঁশ, লাঠি হাতে নিয়ে বিজেপির ফিডার রোডের কার্যালয়টি দখল করতে যান।
![](https://newsfront.co/wp-content/uploads/2019/09/the-heavy-conflict-in-barrackpore3-1024x523.jpeg)
![](https://newsfront.co/wp-content/uploads/2019/09/the-heavy-conflict-in-barrackpore4-1024x481.jpeg)
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও বাধা দেন। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে সমগ্র এলাকায় দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়।
ওই পার্টি অফিসটি বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয় নামে পরিচিত।এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ব্যারাকপুরের মেঘনা মোড়ের কাছে ফের একবার তৃণমূল-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ শুরু হলে আক্রান্ত হন অর্জুন সিংহ। মাথা ফেটে যায় তাঁর।
স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মাথায় সেলাই করে চিকিৎসকেরা তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। আক্রান্ত হন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংহের ছেলেও।
অর্জুন সিংহ দাবি করেন পুলিশের লাঠির আঘাতেই জখম হয়েছেন তিনি। পুলিশের লাঠির আঘাতে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও।
ঘটনাস্থলে র্যাফ নামে, উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে। অর্জুন সিংহের অভিযোগ, তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ।
জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলছেন, অর্জুন বাহিনীই প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এদিনের সংঘর্ষ সম্পর্কে তাঁর যুক্তি, “লোকসভা নির্বাচনের আগে পরে বিজেপি আমাদের ৩০০ দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছিল। শ্যামনগরের ওই পার্টি অফিসটাও সেই রকমই একটা দখল করা কার্যালয়।
আমরা তো বিজেপির পার্টি অফিস দখল করছি না। আমরা আমাদের দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস ফেরত নিচ্ছি। এখনও ওই এলাকায় ১৮০ পার্টি অফিস দখল হয়ে রয়েছে। আমরা সেগুলি ফেরত নেব।’’
বেশ কয়েক সপ্তাহ ব্যারাকপুর এলাকা ঠান্ডা থাকার পর রবিবারের ঘটনা ফের শিল্পাঞ্চলে অশান্তির আগুন ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584