নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
মহামারী নোভেল করোনার প্রভাব পড়ল এবার ফুল চাষে। বাগানের ফুল রইল বাগানেই। করোনার থাবায় যখন জর্জরিত বিশ্ববাসী, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা রবিবার বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ। সুযোগে ব্যবসায়ীরা আলুর দাম চড়িয়ে দিয়েছে, ভিড়েঠাসা সব্জী ও ভুষিমাল দোকানে রবিবারের কেনাকাটা আগেভাবে করার লক্ষ্যে। তারই মাঝে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ফুলচাষিরা। চন্দ্রমল্লিকা, গ্ল্যাডিওলাস, লাল ও বাসন্তী গাঁদা, এবং গোলাপ, ধাক্কা সব চাষেই। করোনার প্রভাবে নেই বিক্রিবাটা।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী, শাঁকটিকরি, জানাবাড় সহ বিস্তির্ন এলাকায় ফুল প্রায় নষ্টের মুখে। চন্দ্রমল্লিকা পার্সেল হয়ে হায়দ্রাবাদ, দিল্লী,মুম্বাই যেত। দুরপাল্লার ট্রেন বন্ধের কারনে ফুলের পার্সেলও যাওয়া বন্ধ। আর তাতেই চাষির মাথায় হাত, ফুল চাষেই জীবিকানির্বাহ করেন এলাকার চাষিরা। লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার ফুল বাগানেই নষ্ট। কুড়িটা গাঁদার মালা বিক্রি হোতো দেড়শো থেকে দুশত টাকায় আজ তা দাঁড়িয়েছে পনেরো থেকে কুড়ি টাকায়,তাও বিক্রি নেই। গ্ল্যাডিওলাস নস্করদিঘী আড়তে নিলাম হোতো তাও বন্ধ।
আরও পড়ুনঃ মেডিক্যাল কলেজের পর নিউটাউনেও করোনা হাসপাতাল, বেলেঘাটা আইডিতে বাড়ল শয্যা
চাষিদের হাজার হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত। সার প্রয়োগ করে বাগান ভর্তি ফুলের কলিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চাষিদের, লাভের মুখ দেখার আশায়। পাঁশকুড়ার বিভিন্ন ফুল নিলামকেন্দ্রেও বিভিন্ন ফুল পাইকারীরা বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছে। ভিনদেশে বা ভিনরাজ্যে বিভিন্ন ধরনের ফুল দুরপাল্লার ট্রেনে যেত, কিন্তু করোনার প্রভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ফুলও আর যায় না, তাই বাগানের ফুল নষ্ট বাগানেই ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584