নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকেই ব্যাঙ্গালোরে যান কাজ খুঁজতে। এদের মধ্যে তাদের সংখ্যাই বেশি যারা দিন মজুরীর কাজে যোগদান করেন।
যেহেতু ব্যাঙ্গালোর অল্প সময়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা একটি শহর, এখানে কন্সট্রাকশনের কাজের চাহিদা বেশি। বাইরে থাকা আসা গরীব পরিবারগুলির মধ্যে অনেকেই নিজেদের সন্তান-সন্ততি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন এই শহরে।
তারা কন্সট্রাকশন সাইটগুলিতে কাজে ব্যস্ত থাকার সময়, তাদের বাচ্চারা সেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই সময় কাটায়, খেলাধুলো করে। আর এই সাইটগুলি বাচ্চাদের জন্য মোটেই সুবিধাজনক জায়গা না।
এসব কথা মাথায় রেখে কর্নাটক সরকার শ্রমিকদের বাচ্চাদের সময় কাটানো ও খেলাধুলো করার জন্য পুরনো-পরিত্যক্ত বাসগুলিকে নতুন রূপ দিয়ে ক্রেশ এ রুপান্তরণের কথা ভেবেছেন।
জাতীয় একটি গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পুরনো পরিত্যক্ত বিএমটিসি এবং কেএসআরটিসি বাসগুলি শিল্পীদের নিয়ে রঙচঙে করিয়ে সম্পূর্ণ নতুন লুক দেওয়ানো হবে, যাতে বাচ্চাদের কাছে তা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
ভিতরে থাকবে নানান বই এবং খেলনা। পুরনো অবস্থা থেকে বাসগুলিকে ক্রেশ এ রুপান্তরণের ভার পড়েছে লেবার বিভাগের কাছে। বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রাতঃরাশে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হবে।
একবার ক্রেশ তৈরি হয়ে গেলেই বিভিন্ন এনজিও-র কাছে দায়িত্ব চলে যাবে ক্রেশগুলি তত্ত্বাবধানের। কন্সট্রাকশন সাইটের ধারেকাছেই ক্রেশগুলি তৈরি করা হবে, যাতে কাজের ফাঁকে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের যে কোনও সময়ে এসে দেখে যেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ টাকা তছরুপের অভিযোগে আটক ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের সহকারি শিক্ষক
ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার সদস্য জি চন্দ্রশেখর ইতিমধ্যেই তাঁর পার্লামেন্টের ফান্ড থেকে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন যা ক্রেশগুলির আমূল রূপায়নে খরচ করা হবে।
এখনও পর্যন্ত ১০০ টি বাসের অনুমতি মঞ্জুর হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে বাচ্চাদের ভাল লাগাও যেমন বাড়বে, পাশাপাশি তাদের মা বাবারাও নিশ্চিন্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584