নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
রবিবার সন্ধ্যায় কার্তিক পূজায় মাতল মেদিনীপুর শহরের সিংহ পরিবার। তিন দশক অতিক্রম করে পায়ে পায়ে ৩৩ বছর অতিক্রম করল সিংহ বাড়ির কার্তিক পূজা। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরের সিংহ বাড়ির কার্তিক পূজা হল বেশ জমজমাট করে।
বিধাননগর জে টুয়েন্টি সেভেনের ‘বৃষ্ণি’ বাড়ি এবার নানান সাজে সেজে উঠেছিল কার্তিক পূজা উপলক্ষ্যে । রঙিন আলোর পাশাপাশি রঙিন আল্পনা দিয়ে সাজানো হয়েছিল সিংহ বাড়িকে। সাথে পরিবেশ মাতোয়ারা হয়েছিল ঢাকের শব্দ, ঘন্টাধ্বনি-শঙ্খধ্বনিতে। সাথে ছিল তুবড়ির ফুলঝুরি।
এই বাড়িতে কার্তিক পূজার সূচনা হয় বাড়ির বড় মেয়ে ত্রিনেত্রীর জন্মের তিন বছর আগে ১৯৮৭ সালে। বাড়ির কর্তা-গিন্নি দুর্গপ্রসাদ সিংহ ও মৈয়েত্রী সিংহের দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে এমনিতেই আনন্দমুখর হয়েছিল দিনটি।
শোনা যায়, কার্তিক পূজার আগের রাতে আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের কেউ তাঁদের বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে যান। সাধারণভাবে গৃহস্থ বাড়িতে ফেলে যাওয়া কার্তিক পূজা পরপর তিন বছর পূজা করার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সিংহ বাড়িতে চালু হওয়া এই পূজা এখনও বহাল তবিয়তে চলছে।
আরও পড়ুনঃ মসজিদের জন্য অযোধ্যার ৫ একর জমি নিতে নারাজ এআইএমপিএলবি
গৃহে সন্তান জন্মানোর কামনায় এই বাড়িতে শুরু হওয়া পূজার সাথে এতটাই আন্তরিকতা মিশে আছে যে ‘কার্তিক ঠাকুর’কে বাড়ির দুই বোন ত্রিনেত্রী ও সিবেলী মন থেকে ‘বড় দাদা’ বলে মানেন।
এই বাড়ির কার্তিক ঠাকুরের বিসর্জন হয় নিয়ম মেনেই। প্রতিবারেই পূজায় ভিড় জমান আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশিরা।
এরকম একটি পারিবারিক উৎসবে যোগ দিতে পেরে খুশি শর্টফিল্ম নির্মাতা সৌমেন্দু দে, শিক্ষক-সমাজকর্মী সুদীপ কুমার খাঁড়া, শিক্ষক-চিত্রশিল্পী নরসিংহ দাস, শিক্ষিকা সংঘমিত্রা প্রধান, নাট্যকর্মী শুভঙ্কর দলুই, পিন্টু দাস, ফটোগ্রাফার সাত্যকি দাস মহাপাত্র, শিক্ষিকা সংহতি মাইতি প্রমুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584