চিফ জাস্টিশকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে ভাইরাল নেট দুনিয়া

0
252

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

সোশ্যাল মিডিয়া, মূলত হোয়াটস্অ্যাপ এ ছড়িয়ে পড়া প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেক। পাশাপাশি এই চিঠির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। হোয়াটস্যাপ, ফেসবুক, টুইটার এর যুগে ফেক নিউজের ব্যাপ্তি খুব কম সময়েই অনেক দূর প্রসারিত হয়ে থাকে। তাই এই খবরটিকে অনেকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে নারাজ।

the letter of prime minister is viral on internet | newsfront.co
সংবাদ চিত্র

তবে গতকাল বামপন্থী নেতা অশোক ঘোষ তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে এই চিঠির একটি স্ক্রিনশট দিয়ে লিখেছেন “মুখোশ খুলে যাচ্ছে”। তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আবার জোরালো বিতর্ক শুরু হয়েছে।

১১ নভেম্বরে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোইকে লেখা একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে লেখা ছিল, “প্রিয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই, আপনাকে আমার এবং আপনার বেঞ্চের বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডিওয়াইয়ের অভিনন্দন জানাই। বিচারপতি চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকে অশেষ ধন্যবাদ হিন্দু রাষ্ট্রে এই ধরনের অবদান রাখার জন্য।”

the letter of prime minister is viral on internet | newsfront.co
এই চিঠিই ভাইরাল হয়েছে নেটে। সংবাদ চিত্র

ওই চিঠিতে আরও লেখা ছিল, “হিন্দুরা আপনার বাধ্যবাধক ও স্মরণীয় সিদ্ধান্তের জন্য সর্বদা আপনার এবং আপনার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন, যা হিন্দু রাষ্ট্রের জন্য একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করবে।

আমি আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত শুভেচ্ছা জানাই এবং এই অসাধারণ সিদ্ধান্তের জন্য আপনাকে আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অসাধারণ সমর্থনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”

এখন ভাববার বিষয় হল, সরকারি চিঠির ভাষার বয়ান আদৌ এতটা ব্যক্তিগত হয় কি? বিবৃতিতে লেখা– “হিন্দুরা আপনার প্রশংসনীয় এবং স্মরণীয় সিদ্ধান্তের জন্য সর্বদা আপনার এবং আপনার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন, যা হিন্দু রাষ্ট্রের জন্য একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করবে” এবং “এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অসাধারণ সমর্থনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ”।

বাংলাদেশেও এই ঘটনাকে নিন্দনীয় হিসাবেই দেখা হয়েছে

প্রথম কথা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই ধরনের পিঠ চাপড়ানো চিঠি পাঠানোর কথা নয়, কারণ কোনও সরকারি দফতরেই এই ভাষায় চিঠি লেখা হয়ে থাকে না।

দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের চিঠিতে একটি টাইপো রয়েছে। ‘কমেন্ডেবল’ শব্দটি ‘কমপেনডেবল’ হয়ে গিয়েছে। তদুপরি প্রধানমন্ত্রী যদি চিঠিটি সত্যি পাঠিয়ে থাকতেন তবে তা জাতীয় সংবাদ হিসেবে দফতর থেকেই প্রচার করা হতো। জানা গিয়েছে, অবিকল একটি চিঠি ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরকেও করা হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here