সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
বহুল প্রচলিত লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার গ্যাস সিলিন্ডারে কারচুপির অভিযোগ করল গ্রাহক।প্রতি সিলিন্ডার পিছু প্রায় ১ কেজি কম ওজনের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ গ্রাহকের।
এই অভিযোগে সিলেন্ডার আটকে রাখায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ সিলিন্ডারটি উদ্ধার করে ডিস্ট্রিবিউটর হাতে তুলে দিলেন।
এখানেই ঘটে বিপত্তি।পাথরপ্রতিমা থানার দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।
জানা যায়,দক্ষিণ রায়পুরের এক গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে।সেই সরবরাহ কেন্দ্রের গ্রাহক স্বর্ণলতা ঘড়ুই গ্যাস বুক করলে গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসে সরবরাহকারী সংস্থার কর্মচারী জাহাঙ্গীর গাজি।
স্বর্ণলতা দেবীর সিলিন্ডার পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় মাপতে বলেন।একটি গ্যাস সিলিন্ডার মেপে দেখা যায় প্রায় ১ কেজি কম।পরে আরও দুটি মাপা হয়,তবে সে দুটির একটিতে ১০০ গ্রাম অপরটিতে ২০০ গ্রাম কম রয়েছে।তখন এলাকার কয়েকজন মিলে ১ কেজি কম সিলেন্ডারটি আটক করে রাখে।অপর দুটি স্বর্ণলতা ঘড়ুইয়ের বুক করা গ্যাস বলে দুটি রেখে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ আইসক্রিম কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মালিকের মৃত্যু,জখম ২
ঢোলাহাট থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।ঠিক তখনই ঢোলাহাট থানার মেজ বাবু শুভেন্দু বাবু আসেন। গ্যাসটি ফেরত দিতে বলেন স্থানীয়দের।
গ্রাহক বলেন আপনি গ্যাসগুলোকে আটক করুন তার উত্তরে মেজবাবু বলেন কনজ্যুমার আদালতে অভিযোগ করুন।তবে গ্যাসটি আটক করা যাবে।আমাদের কিছু করার নেই।স্থানীয়রা গ্যাস নিতে বাধা দিলে তিনি জোর করে গ্যাসটি নিয়ে চলে যান।
স্বর্ণলতা দেবী বলেন,আমার বুক করা গ্যাস ওই গ্যাসটি আমার থাক আপনি অন্য গ্যাসটির নিয়ে যান।তাতে থানার মেজবাবু রাজি না হয়ে ওই সিলিন্ডারটিই দিতে বাধ্য করেন এবং গ্যাস সিলেন্ডারটি ডিস্ট্রিবিউটরের হাতে তুলে দেন।
অভিযোগের তদন্ত না করে অভিযুক্তকে বাঁচাল পুলিশ বলেই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584