পেল্লাই সাইজের জিলিপি হাড়দার লক্ষ্মী পুজোর মূল আকর্ষণ

0
118

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো হলেও বিনপুরের হাড়দা গ্রামে লক্ষ্মীপুজো ঘিরে শারদোৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। আবার এখানে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর যুগল আরধনা হয়।

jelepi | newsfront.co
জিলিপ। নিজস্ব চিত্র

বছরের পর বছর চলে আসছে এই প্রথা। লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পাশপাশি লক্ষ্মীপতি নারায়ণ ও দুই দেবীর চারজন সখীরও পুজো করা হয়। এবার পুজোর ১৫৮ তম বর্ষ। এই লক্ষ্মী পুজোয় হাড়দার জিলিপিরও বিশাল খ্যাতি রয়েছে।

পুজোর সময় একটি মাত্র দোকানই নিলামের মাধ্যমে জিলিপি বিক্রি করার অনুমতি পায়। নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত মানুষ ওই একটি দোকান থেকেই জিলিপি কেনেন। চাল ও বিউলির ডালের তৈরি এই জিলিপির স্বাদও সম্পূর্ণ আলাদা।

আরও পড়ুনঃ জীবনসঙ্গীর কামনায় কোজাগরীতে অব্যুঢ়া উৎসব

গ্রামবাসীদের কথায়, লক্ষ্মীপুজোয় বিনপুরের হাড়দা গ্রামের জিলিপির কথা শোনেননি এমন মানুষ নাকি নেই। প্রকাণ্ড মাপের রসে ভরা সেই জিলিপির চলও নাকি প্রাচীন কাল থেকেই।

হাড়দাবাসীর বিশ্বাস, জিলিপির রসে মিশে থাকে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। দেবীর নৈবেদ্যে অবশ্য জিলিপির ঠাঁই নেই।

কিন্তু কে জিলিপি বানাবেন? সে জন্য আগাম নিলাম ডাকে পুজো কমিটি। যিনি সর্বোচ্চ দর দেন, কেবলমাত্র তিনিই মেলায় প্রসাদী জিলিপির দোকান খোলেন।

মেলার পাঁচ দিন একমাত্র ওই দোকানেই জিলিপি বিক্রি হয়। বিউলি ডালের গুঁড়োর সঙ্গে আতপ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের এই জিলিপি। বছরে মাত্র এক বার। নিয়ম অনুযায়ী কোজাগরীর পরে প্রতিপদ থেকে এই জিলিপি তৈরির কথা। তবে এখন লক্ষ্মীপুজোর দিনেই জিলিপি তৈরি শুরু হয়ে যায়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here