নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বিহারের বেগুসরাই জেলার ছোটা বেলিয়া গ্রামের যুবক নীতিশ কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঘুরতে ঘুরতে পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা থানার কিয়াবনী গ্রামে এসে হাজির হয়।স্থানীয় স্বাধীন সংঘ ক্লাবের সদস্যরা নিতিশ কুমারকে উদ্ধার করে ক্লাব ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে।
নিতিশ কুমার অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্লাবের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।ক্লাবের সদস্য অমৃত মন্ডল নিতিশ কুমার এর সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন।সেই পোস্ট এত বেশি শেয়ার হয়,যে নিতিশ কুমার এর একজন পরিচিত সেই পোস্ট চোখে পড়ে।
ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রাথমিক কথাবার্তা হয় তাদের।তারপর ফোন নাম্বার চেয়ে ফোন।ঠিকানা জানার পর নীতিশ কুমারের দাদা ও বাবা খোঁজ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার কিয়াবনী গ্রামে হাজীর হয়।এদিন ক্লাবের সদস্যরা সকলে মিলে তার বাবা মঙ্গল সা এর হাতে নিতিশ কুমার কে তুলে দেয়।
ছেলেকে ফিরে পেয়ে বাবা মঙ্গল সা এর প্রতিক্রিয়া, “বহুৎ আচ্ছা লাগরাহাহে,বেটে কা তাবিয়াত খারাব থা,বিমার থা,ইসলিয়ে বিহার ছোড়কে বেঙ্গল চালা গেয়া।
ফেসবুকসে মাধ্যমসে জোগাজোগ হুয়া।উসসে হি নম্বার মিলা।” ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বরূপ রায় জানান বেশ কয়েকদিন আগে একটি অজ্ঞাতপরিচয় যুবকেকে ক্লাবের সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। ক্লাবের সদস্যরা তাকে ক্লাবে থাকতে দেয়,তার শরীর খারাপ হলে তার শুশ্রূষা করে,কথা বললে তাকে কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্ন লক্ষ্য করা যায়।
আরও পড়ুনঃ যুবকদের প্রচেষ্টায় পরিবারে ফিরল মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে
তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। আমরা বুঝতে পারি যে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।নিতিশ কুমার এর সন্ধান চেয়ে ক্লাবের সদস্য অমৃত মন্ডল ফেসবুকে একটা পোস্ট করে সেই পোস্ট এত বেশি শেয়ার হয় যে ওখানকার এলাকার লোকের চোখে পড়ে l
তারপর ওরা ওখান থেকে ফোন নাম্বার চাই আমার ফোন নাম্বার দিয়ে ফোনে কথা হয় l ঠিকানা জানায়। আজকে ওর বাবা, দাদা এখানে এসেছে ।
আমরা ওদের পরিবারের হাতে ছেলেকে তুলে দিলাম।এর থেকেই প্রমাণ হয় ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুব ভালো কাজ হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584