পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
মঙ্গলবার সকাল থেকে নানুর থানার ধান্য গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে।অভিযোগ বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ করিম খান ও তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।অশান্তি গিয়ে শেষ হয় বোমাবাজিতে।মুহুর্মুহু বোমা পরে এলাকায়।বোমার আওয়াজে গ্রামবাসীরা বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়।প্রায় এক ঘন্টা ধরে বোমাবাজি চলার পর নানুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবারই নানুরের তৃণমূলের দাপুটে নেতা কাজল শেখ এর সঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের একপ্রস্থ বৈঠক হয় এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে এসে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য।কিন্তু নানুর আছে নানুরেই,মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধান্য গ্রাম।যদিও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতা অভিজিৎ সিনহা।
আরও পড়ুনঃ খড়গপুরে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ধৃত দিলীপ ঘনিষ্ঠ, অন্য গোষ্ঠীর আহত দুই চিকিৎসাধীন
মঙ্গলবার দুপুরে অভিজিৎ বাবু সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমে যে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে নানুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তা সর্বৈব মিথ্যা।তিনি বলেন,যে ২ নেতার অনুগামীদের নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে খবরে দেখানো হচ্ছে, এই দুই নেতা করিম খান ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় আমার সামনে বসে আছে জেলা পরিষদে।তাহলে কি ভাবে তাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হলো।
নানুরের ধান্য গ্রামে যেটা হয়েছে সেটা নেহাতই একটি গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে। আমরা পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষভাবে সঠিক তদন্ত করে বিষয়টি সমাধান করতে।নানুরে তৃণমূলে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়নি।বিরোধীরা অপপ্রচার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন অভিজিৎবাবু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584