পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
মাস পয়লা পেরিয়ে গেলেও মিলল না বেতন,সমস্যায় বীরভূম জেলার ১৯টি ব্লকের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা।সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা শাসক।
মাস শুরু হলেই ব্যাংক একাউন্টে বেতন ঢোকার কথা কিন্তু মাসের ৬ তারিখ হয়ে গেলেও বীরভূম জেলার ১৯টি ব্লকের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীদের ব্যাংক একাউন্টে ঢোকেনি বেতন।তাতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।
বাধ্য হয়ে সিউড়ি ১ ব্লকের সামনে ধর্ণায় বসেছে প্রায় পঞ্চাশজন কর্মী।মূলত বেতনের টাকা বরাদ্দ না হওয়ায় এরকম সমস্যা দাবী প্রশাসনের।এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের এক কর্মী কুন্তল মণ্ডল জানাই,”আমরা এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পায় নি।ফলে আমাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।ওই টাকাতেই তো আমাদের সারা মাসের ভরসা।
আরও পড়ুনঃ ভুল চিকিৎসায় নষ্ট চোখ,জেলা শাসকের দফতরে ধর্ণায় পরিবার
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সমাধান হয় নি।”বেতন নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন অতিরিক্ত জেলা শাসক জেলা পরিষদ দীপ্তেন্দু বেরা জানান,”হ্যাঁ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েতে সমিতির কর্মীদের বেতন নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছে।আমাদের জেলার ১৯টি ব্লকে এই সমস্যা হয়েছে।শুধু বীরভূম নয় রাজ্যের বেশিরভাগ জেলার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে।”কিন্তু বেতন নিয়ে এরকম সমস্যার কারণ কি?প্রশাসন সূত্রে দাবী, প্রতি মাসেই বেতনের অনুমোদন আসার পর কর্মীরা হাতে বেতন পান।
কিন্তু আর্থিক বছরের শেষ মাসে বিভিন্ন তহবিলের ব্যয় বরাদ্দ খতিয়ে দেখা হয় ফলে অনুমোদনে একটু বিলম্ব হয়।তবে সেই জন্য বেতনের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না।বেতন বরাদ্দ হবেই এই ব্যাপারটি নিশ্চিত থাকায় ট্রেজারি থেকে আগাম বিল পেশ দেওয়া হয়।এই নিয়মই দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের ক্ষেত্রে হয়ে আসছে।কিন্তু এই বছরই ভিন্ন ঘটনার সাক্ষী থাকলো বীরভূমের ১৯টি ব্লকের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে,গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি পঞ্চায়েত দপ্তরের কমিশনার সমস্ত জেলা শাসকদের সংশ্লিষ্ট ট্রেজারির সাথে সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ছাড়ার নির্দেশ দিলেও ১লা মার্চ সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন ফলে একটি বড় অঙ্কের কর্মীদের বেতন আটকে যায়।ফলে চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মচারীদের।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের আরেক কর্মী চম্পক চ্যাটার্জী জানান,”মাস পয়লা হয়ে গেলেও আমরা এখনো বেতন পাই নি।আমাদের খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।”যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে যে খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বীরভূমের মাড়গ্রামের কংগ্রেসের বিধায়ক মিলটন রশিদ বলেন, এতো হবারই ছিল,যে ভাবে রাজ্যের তৃনমূল সরকার দান খয়রাতি শুরু করেছে তাতে আগামী দিনে সরকারি কর্মীরা তাদের নূন্যতম বেতনটি সঠিক সময়ে পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584