বর্ষায় আতঙ্কের দিন রাত্রি

0
96

নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ

নিজস্ব চিত্র

বর্ষার শুরুতেই বিভিন্ন নদীতে ভাঙন ব্যাপক আকার নিয়েছে মাথাভাঙার।ওই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।জানা গেছে,মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ন্যান্দারপার শিবপুর,পানাগুড়ি ও চান্দামারিতে নদী ভাঙনের ফলে ২৬ টি পরিবার ভিটেছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধ তৈরির দাবি জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।এবারে বর্ষায় নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে দ্বিগুণ আকারে ভাঙন শুরু হয়েছে।ওই এলাকার বাসিন্দারাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

নিজস্ব চিত্র

প্রত্যেকবার বর্ষাতেই মাথাভাঙা মহকুমা জুড়ে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার নেয়। প্রতি বছর কয়েকশ হেক্টর চাষের জমি নদীগর্ভে চলে যায়। এতে প্রচুর মানুষ ভিটেছাড়া হয়ে যায়। এবারে বর্ষা শুরুর সঙ্গেই ভাঙন ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে। মাথাভাঙা মহকুমার ধরলা, মানসাই, সুটুঙ্গার ভাঙন শুরু হওয়ায় কয়েকশো বাসিন্দা আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ বেহাল নদীবাঁধ, ভরা বর্ষায় আতঙ্কিত সুন্দরবনবাসী

মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ন্যান্দারপার শিবপুর, পানাগুড়ি ও চান্দামারিতে নদী ভাঙনের ফলে ২৬ টি পরিবার ভিটেমাটি হারানোর মতো অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

মাথাভাঙা-শীতলকুচি রাজ্য সড়কের ধরলা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ভাঙন এতটাই ব্যাপক আকার নিয়েছে যে বর্ষা শুরু হতেই বেশ কয়েক বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ওই এলাকার ১০টি বাড়ি এবার বর্ষায় নদীগর্ভে চলে যেতে পারে এমনটাই আশঙ্কায় দিন গুণছেন বাসিন্দারা।

অপরদিকে আরও পশ্চিম দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ১৬টি পরিবার। সেখানেও তারা ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

যেকোনও সময় তাঁদের বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। আজ মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা ওই সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এদিন তিনি বলেন, আমরা আজ নদী ভাঙ্গনে এলাকাগুলি পরিদর্শনে করলাম। এমত অবস্থায় মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ন্যান্দারপার শিবপুর, পানাগুড়ি ও চান্দামারিতে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। তাতে বেশ কিছু বাড়ি ঘর তার কবলে পড়তে পারে। এছাড়াও বড়খলিশামারি পঞ্চানন বর্মার জন্ম ভিটাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আজ আমি সেচ দফতরের আধিকারিক সাথে বৈঠক করে বিষয়টা জানাব।

স্থানীয় বাসিন্দা বিমল বর্মণ, নিলু বর্মণ, স্বপন বর্মণ বলেন, প্রত্যেক বছর বর্ষায় যখন ভাঙন আমাদের সবকিছু কেড়ে নেয় তখন তা অনেকেই দেখতে আসেন। তারপর সবাই সব ভুলে যায়। বাঁধ তৈরির দাবি বহুবার জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দু’এক বছর বাঁশের খাঁচা বসানো হয়েছিল, তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। ভাঙন আটকানো যায় না।

পূর্বের খবর: ফাঁসিদেওয়ায় গঙ্গারাম চা বাগানে ভেঙে পড়ল ব্রিজ

স্থানীয় বাসিন্দা মোসলেম মিঁয়ার অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর আমাদের এই অংশে ভাঙনের কবলে প্রচুর চাষের জমি নদীগর্ভে চলে যায়। এরমধ্যে কয়েক জন ভিটেছাড়া হয়েছেন। আমরা জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সেচ দপ্তর সবাইকে এব্যাপারে জানিয়েছি।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের হিতেন বর্মন বলেন, “আমরা ধরলা নদীর বেশকিছু ভাঙন প্রবণ জায়গায় বাঁধ তৈরি করেছি। চান্দামারির ওই জায়গা ভাঙন প্রবণ সেটা সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। আপতকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সেচ দফতর।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here