সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
পুরানো বছরকে বিদায় নতুনকে বছর বরণে আনন্দে মেতে উঠতে গিয়ে কন কনে ঠান্ডার রাতে সকালের প্রতীক্ষায় কাটাতে হল পিকনিক দলের সদস্যদের।নিয়ম অনুযায়ী রাত দশটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত বন্ধ ভেসেল পরিষেবা,যার জেরে নাজেহাল হল সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।কনকনে ঠান্ডায় কুয়াশার মধ্যে নামখানার ঘাটে রাত কাটাল বহুপর্যটকের।সেই অর্থে কোন প্রচার না থাকায় এমন সমস্যা।যদিও বিজ্ঞপ্তি বোর্ডে ঝোলানো আছে সময় সারণি কিন্তু কে বা আর অত খোঁজ রাখে।আবার বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের এই সময় সারণি জানার কথাও না।মাইকিং বা অন্য কোন ভাবে প্রচার করে যাত্রীদের সচেতন করার কোন প্রয়াসই ছিল কর্তৃপক্ষের, যার জেরে ঘটল দুর্ভোগ। এদিকে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর ফেরিঘাটে অত্যাধিক হারে ভাড়া চাওয়ায় পারাপারের সমস্যায় পরেছেন পর্যটকেরা।১লা জানুয়ারীতে বকখালি,হেনরিজ আইল্যান্ডে ঘুরতে এসে মাটি হল আনন্দ।নামখানা ব্লকের নারায়নপুর ফেরিঘাট। যার মধ্যস্থে অবস্থান করছে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী।নদী পারিয়ে যেতে হয় নামখানা দ্বীপে।দুটি জলপথে পৌঁছাতে হয় পর্যটক থেকে নিত্য যাত্রীদের।একদিকে নারায়নপুর ঘাট। অন্যদিকে রয়েছে ভূতল পরিবহনের নামখানা ভেসেল পরিষেবা। প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত চলে পরিষেবা।মাঝে এক ঘন্টা বন্ধ থাকে দুপুরে।প্রতিদিন ছোট বড় মিলিয়ে ২৫০টি গাড়ি পারাপার করে। ভূতল পরিবহনের মধ্যে দিয়ে যান পারাপারের ব্যবস্থা।অন্যদিকে ত্রিশটি ভটভটি পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে।যার বহন খরচ মাত্র দু’টাকা।হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হয়।সমস্যা হয় পিকনিকের দিন গুলিতে।নিরাপত্তার অভাব যেমন রয়েছে,তেমনি রয়েছে ভেসেল বন্ধ থাকায় নাজেহাল হওয়ার পরিস্থিতি।তাই রাত বাড়তেই প্রাত্যহিক নিয়মানুযায়ী ভেসেল বন্ধ হতেই আটকে পরে বহু গাড়ি।মহিলা পুরুষ শিশুদের নিয়ে লম্বা লাইনে অপেক্ষা দীর্ঘক্ষনের,কেউ ব্যস্ত তাস খেলতে,কেউ বা ব্যস্ত ঠান্ডায় আগুন পোহাতে।উঠছে নিরাপত্তার প্রশ্নও।শৌচাগারের সমস্যাও বর্তমান।এত সমস্যার মধ্যেও পর্যটকের অপেক্ষা একটু আনন্দ খুঁজে পেতে কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিয়মের বেড়া টেনে নীরব।
আরও পড়ুন: কথা রেখেছেন মন্ত্রী,দুর্ঘটনার ছয় দিনেই মিলল ক্ষতিপূরণ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584