ওয়েবডেস্ক,নিউজফ্রন্টঃ

কৌতূহল টা আজকের নয় । গবেষণা মূলকভাবে বিজ্ঞান চর্চার সূচনা লগ্ন থেকে পৃথিবী ব্যাপী জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ও পদার্থ বিজ্ঞানীদের অন্যতম প্রধান কৌতূহল ছিল এই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর।কী এই ব্ল্যাকহোল,কেমনই বা দেখতে ,আর তাকে নিয়ে কীসের এত জল্পনা ?
এত দিন পর্যন্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল এই মহাবিশ্বের সূচনা লগ্ন থেকেই ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব ছিল।আরও অনুমান করা হতো ,এটি এমন এক রহস্যময় গর্ত যা মূলত এই মহাবিশ্বের যেকোনো কিছু কে গিলে নিতে বা গ্রাস করতে সক্ষম।এমন কী এটি আলো কে গ্রাস করতেও সক্ষম ।
আলবার্ট আইনস্টাইন থেকে শুরু করে এ যুগের শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর মত বিজ্ঞানীরা এত দিন গবেষণা মূলক বৈজ্ঞানিক অনুমানের ভিত্তিতে ব্ল্যাক হোল নিয়ে তাদের মতামত জানিয়ে এসেছেন।
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সামনে এলো সেই রহস্যময় কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি ।এই প্রথম সামনে এলো পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের মেসিয়ার ৮৭ ছায়াপথে অবস্থানরত একটি বিশাল কৃষ্ণ গহ্বরের বাইরের আকৃতি চিত্র।তবে এই চিত্র তথ্য সামনে আসতেই ব্ল্যাকহোল সমন্ধে পূর্ব জ্ঞান গবেষণার আলোকে নতুন পথ দেখাবে।
সূত্রের খবর,প্রায় দুইশ’র বেশি বিজ্ঞানীর নিরলস পরিশ্রমে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপের সাহায্যে অ্যান্টার্কটিকা থেকে স্পেন এবং চিলিতে অবস্থানরত ৮ টি রেডিও টেলিস্কোপের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই চিত্রটি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা ।
উল্লেখ্য, ইভেন্ট হরাইজনের পরিচালক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ গবেষক সেফার্ড ডোয়েলমেন এই বিষয়ে জানান, “নিশ্চিতভাবে কৃষ্ণ গহ্বর মহাবিশ্বের সবথেকে রহস্যজনক বস্তু।আমরা তাই দেখেছি যা আমরা কখনো দেখতে পারবো না বলে ভেবেছিলাম।অবশেষে আমরা একটি কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছি “।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,পূর্বে মাইকেল ব্রেমার নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন,”ছোট ছোট দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এত বছর ধরে তারা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন। কারণ একটি বিশাল দূরবীক্ষণ ব্যবহার করলে সেটা তার নিজের ওজনেই ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা ছিল “।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584