সুদীপ পাল, বর্ধমান :
বর্ধমান শহরে পুলিশের চোখ এড়িয়ে চলছে নিষিদ্ধ বাজির কারবার। ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ বাজি ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু যেভাবে পুলিশের চোখে এড়িয়ে বাজির কারবার চলছে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতন ব্যাপার।
‘ফুড অ্যাপে’র মাধ্যমে রেস্তোরাঁ থেকে যেভাবে খাবার আনানো হয় সেভাবেই শব্দবাজি পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি। দোদমা, কালীপটকা, চকলেট বোমা থাকছে তাতে। বাজির দাম আর গাড়িভাড়া পাঠিয়ে ফোন করলে বাড়ির দরজায় বাজি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন ‘ডেলিভারি ম্যান’।

পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় বাজি তৈরির কারখানা আছে। সেখানে আতশবাজি তৈরি হয়। কিন্তু দুর্গাপুজোর পর থেকে অনেক জায়গাতেই শব্দ বাজি তৈরি হতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতেও কালীপুজোর জোরদার প্রস্তুতি দুই বর্ধমানে
শুধু তাই নয়, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আশেপাশের অন্যান্য জেলা থেকেও কালীপুজোর দু’দিন আগে থেকে প্রচুর শব্দবাজি জেলায় ঢোকে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, নিষিদ্ধ বাজি ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কেজি শব্দ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জেলাজুড়ে নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে। বর্ধমান শহরে পুলিশের চারটি টহলদার দল থাকবে পুজোর দিন। নীলপুর, আলমগঞ্জ, বিবেকানন্দ কলেজ মোড়, বাদামতলা প্রভৃতি জায়গায় বিশেষ নজরদারি করা হবে। সাদা পোশাকের পুলিশ বাজি বাজারে নজরদারি করবে বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584