নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ
এক সময়ের প্রতিপক্ষ আজ পাশপাশি শুয়ে রক্ত দিল।পূর্বেও তারা রক্ত দিয়েছে এবং নিয়েছে।সে রক্ত হিংসার ধ্বংসের।তা জীবন দেয়নি বরং অকালে কেড়ে নিয়েছে।আজকের রক্তদান জীবনের উদ্দেশ্যে জীবনদান।আর এই অভিনব উদ্যোগ সফল হয়েছে বাঁকুড়া পুলিশের সৌজন্যে।একসময় এলাকায় ‘ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত মাওবাদী স্কোয়াডের চার জন সদস্য সারেঙ্গা থানার উদ্যোগে এক রক্তদান শিবিরে পুলিশ কর্মীদের পাশের বেডে শুয়েই রক্ত দিলেন। যা ২০১১ সালের পূর্বে ছিল কল্পনাতীত।রাজ্যে পালাবদলের পর বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে থেমেছে মাওবাদী-যৌথবাহিনি গুলির লড়াই।এখন আর দু’পক্ষের গুলির শব্দ আর যৌথবাহিনীর টহলদারি দলের ভারী বুটের আওয়াজে সাক্ষী থাকতে হয়না এখানকার মানুষকে। জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানার তৎকালীন আইসি রবিলোচন মিত্র সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মীর মাওবাদীদের হাতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।তারপর কংসাবতী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে।২০১১ সালে ৩৪বছরের বামসরকারকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষের সরকার।বদলেছে চিত্র।এক সময়ের সন্ত্রাসী মাও সদস্য অস্ত্র ফেলে ফিরে এসেছেন সমাজের মূলস্রোতে। সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণের পর এখন তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এমনই সারেঙ্গা থানা এলাকার একসময়ের সক্রিয় মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত বিক্রমপুর,সালুকা, বামনিশোল ও সারেঙ্গার সলিল লোহার ওরফে শম্ভূ, রামশরণ দুলে, উত্তম আহির ও দেবেন মুর্ম্মু।এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশপ সরকারের উপস্থিতিতে আরো অনেকের সঙ্গে তারাও এদিন রক্তদান করল।আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশপ সরকার নিজে রক্ত দিয়ে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।এছাড়াও চারজন মহিলা পুলিশ কর্মী, র্যাফ, ইএফআর কর্মী, চার জন মাওবাদী হিসেবে অভিযুক্ত সহ মোট ৮৬ জন রক্তদান করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় কংগ্রেসের ব্লক সম্মেলন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584